কিছুক্ষণের জন্য মনে হয়েছিল, ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের পুনরাবৃত্তি হবে না তো! সেই ম্যাচেও একটা রান আউট হয়েছিল। এই ম্যাচেও। কোনও সময় ভারত এগিয়ে, কোনও সময় নিউজিল্যান্ড। আইসিসি ইভেন্টে দু-দলের যে ঐতিহ্য, রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচেরই প্রত্যাশা ছিল। ধরমশালায় সবরকমই রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছিল। নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত শুরু, স্লগ ওভারে ভারতের প্রত্যাবর্তন, সামির পাঁচ উইকেট। রান তাড়ায় রোহিত-শুভমনের বিধ্বংসী শুরুর পর সাময়িক খেই হারানো। বিশ্বকাপ অভিষেকে সূর্যকুমার যাদবের রান আউট হওয়া। ম্যাচের পরতে পরতে রোমাঞ্চ। পরিস্থিতি দাঁড়ায়, ক্রিজে যতক্ষণ বিরাট কোহলি, অ্যাডভান্টেজ ভারত। শেষ অবধি তাই হল। দু ওভার বাকি থাকতেই রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড। একেক সময় মনে হয়েছিল ভারতের সামনে ৩৫০-র লক্ষ্যও থাকতে পারে। স্লগ ওভারে অনবদ্য বোলিং মহম্মদ সামি ও জসপ্রীত বুমরার। বিশেষ করে বলতে হয় সামির কথা। বিশ্বকাপের মঞ্চে বরাবরি ভয়ঙ্কর সামি। তারপরও তাঁকে খেলানো হচ্ছিল না। সুযোগ পেতেই যোগ্যতা প্রমাণ করলেন পাঁচ উইকেট নিয়ে। বিশ্বকাপে উইকেটের নিরিখে ছাপিয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনিল কুম্বলেকে। সামির পর আরও উন্মাদনা তৈরি ছিল।
ভারতকে ২৭৩ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড। দুর্দান্ত শুরু হয় ভারতের। রোহতি শর্মা-শুভমন গিল বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। গিলের ঝুলিতেও রেকর্ড। দ্রুততম হিসেবে ওডিআইতে ২ হাজার রানের মাইলফলকে শুভমন। পরপর দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুল জুটি ফের ভরসা দেন। রাহুল ফিরতেই ফের রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। বিশ্বকাপ অভিষেকে রান আউট সূর্য।
বিরাট-জাডেজা জুটি দলকে ক্রমশ জয়ের পথে নিয়ে যান। গত ম্যাচের মতো দলের জয় এবং একইসঙ্গে বিরাটের সেঞ্চুরির প্রত্যাশা ছিল। ঠিক যেন গত ম্যাচের পরিস্থিতি। ছয় মেরে সেঞ্চুরি ও ম্যাচ ফিনিশ করতে চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু সংযোগ হল না। ৯৫ রানে ফেরেন বিরাট কোহলি। জাডেজা অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ২ ওভার বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয়। ২০০৩ সালের পর আইসিসি ইভেন্টে নিউজিল্যান্ডকে অবশেষে হারাল ভারত।