যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়ামৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগ শহরেরই আরও এক কলজে। ফুলবাগানের গুরুদাস কলেজের এমনই এক ঘটনা সামনে এনেছেন ওই কলেজেরই এক পড়ুয়া। সূত্রে খবর, র্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা। অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা গুরুদাস কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই নিগৃহীত পড়ুয়া সরাসরি ইউজিসির কাছে র্যাগিংয়ের অভিযোগও করেছেন।
সূত্রের খবর, ছাত্রের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে ইউজিসি-ও। অভিযোগ পাওয়ার পর ইউজিসির তরফে ইতিমধ্যেই গুরুদাস কলেজের অধ্যক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। ইউজিসির গাইডলাইন অনুযায়ী পদক্ষেপে করার পাশাপাশি কলেজকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানায় এফআইআর দায়ের করতে বলা হয়েছে। এদিকে ইউজিসির তরফ থেকে যে নির্দেশ এসেছে সেই অনুসারে কলেজের তরফ থেকেও রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে গুরুদাস কলেজ সূত্রে খবর, কলেজে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত টিএমসিপি ছাত্রনেতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্যও ইউজিসির কাছে রিপোর্ট আকারে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত ছাত্রনেতার দাবি, যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর ফের একবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেছে একাধিক নেতাকে। খোদ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসের বার্তা দিয়ে বলেন, ‘র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসই আমাদের লক্ষ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আমাদের সরকার অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে সারা বাংলার ছাত্রছাত্রীরা এই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। কিন্তু এক শ্রেণির লোক ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর বিরোধিতা করছে। কিন্তু আমরা সিসিটিভি লাগাবই।’