দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া এবার গুজরাতে। সুরাতে একই পরিবারের তিন শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আর্থিক অনটনের জেরে আত্মঘাতী হয়েছে পরিবারটি। যদিও এখনই মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত নন তারা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দিল্লিতে একই বাড়ির মোট ১১ জন সদস্য আত্মঘাতী হয়েছিলেন। কুসংস্কারচ্ছন্ন হয়েই ওই সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছিলেন তাঁরা বলে জানতে পারে পুলিশ। গুজরাটের সুরাট শহরের ঘটনা তেমন কি না, তা পুলিশি তদন্তের পরেই স্পষ্ট হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুরাতে আত্মঘাতী মৃতেরা হলেন মণীশ সোলাঙ্কি এবং তাঁর স্ত্রী রিতা, মণীশের বাবা কানু এবং মা শোভা। মণীশ-রিতার তিন সন্তান দিশা, কাব্য এবং কুশল। জানা গিয়েছে, আসবাবের বড় ব্যবসা ছিল মণীশের। ৩৫ জন কর্মী ছিল তাঁর। শনিবার সকালে কর্মীরা ফোনে যোগাযোগ করে না পেয়ে বাড়িতে যান। বারবার ডাকার পরেও দরজা না খোলায় বাড়ির পিছন দিকের একটি জানলা ভাঙা হয়। তখনই দেখা যায় ভয়াবহ দৃশ্য। এর পরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল। সুরাতের ডিসিপি রাকেশ বারোট বলেন, ‘সম্ভবত অর্থনৈতিক কারণেই চরম সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারটি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।’ যদিও আর্থিক অনটনই যে সাতজনের মৃত্যুর কারণ সেই বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ।