আসানসোল: শনিবারের পর ফের সোমবার কম্বলকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের। এদিনও প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেতা চৈতালি তিওয়ারীকে জেরা করে পুলিশ। যদিও জেরার পর তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শনিবার জিজ্ঞাবাদের পর চৈতালিদেবীর স্বামী তথা প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারী পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু এদিন তিনি বা চৈতালিদেবীও জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
প্রসঙ্গত, কম্বলকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে শনিবার প্রথম দফায় চৈতালি তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। শনিবার দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চতুর্থ নোটিস ধরানো হয়েছিল চৈতালির হাতে। সেইমতো সোমবার সকাল এগারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত চলল জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ দুই এসিপি, মহিলা থানার ওসি, উত্তর থানার ওসি, গোয়েন্দা বিভাগের দুই অফিসার, সহ মোট সাত পুলিশ আধিকারিক ও দুই ভিডিওগ্রাফার ঢোকে জিতেন্দ্র-চৈতালির বাড়িতে। প্রায় দু’ঘণ্টা জেরার পর পুলিশ আধিকারিকরা আবাসন থেকে বেরিয়ে আসেন। শনিবার জেরা শেষে নিজে থেকেই আবাসনের নিচে এসে পুলিশ ও তৃণমূল নেতাদের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি কিন্তু সোমবারের জেরা শেষে কোনও মন্তব্য করতে চাননি, জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে শিবচর্চা ও মেগা কম্বল বিতরণ করার এক অনুষ্ঠান হয়। বকলমে এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত একজন ঝালি বাউড়ির ছেলে সুখেন বাউড়ি পরের দিন আসানসোল উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ একটি মামলা করে। অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ তিনটি ধারায় একটি এফআইআর হয়। তাতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, চৈতালি তিওয়ারি সহ নির্দিষ্ট করে ১০ জনের নাম ছিল। এখনও পর্যন্ত তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই ঘটনাতেই এদিন দ্বিতীয় দফায় চৈতালি তিওয়ারিকে জেরা করে পুলিশ।