২০১১ সালে, দিল্লি মেট্রো বিশ্বে প্রথম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক হিসেবে ‘কার্বন ক্রেডিট’ অর্জন করে, যা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হয়। এই স্বীকৃতি দিল্লি মেট্রোর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের প্রচেষ্টার জন্য দেওয়া হয়। এর ফলে দিল্লি মেট্রো পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই নগর পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক উদাহরণে পরিণত হয়।
দিল্লি মেট্রো এই অর্জনের পেছনে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিল, তার মধ্যে রয়েছে:
- শক্তি-দক্ষ প্রযুক্তি ব্যবহার
- বৈদ্যুতিক ট্রেন
- বৃষ্টির জল সংরক্ষণ (রেইনওয়াটার হারভেস্টিং)
- সৌরশক্তি ব্যবহার
এসব উদ্যোগ শহরের কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানায়, এই পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে দিল্লিতে এক বছরে ৬,৩০,০০০ টন দূষণ কমেছে। মেট্রো না থাকলে প্রতিদিন প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ গাড়ি, বাস বা মোটরসাইকেল ব্যবহার করত, যা দূষণ অনেক বাড়িয়ে দিত।
জাতিসংঘ আরও জানায়, দিল্লি এই উদ্যোগের বিনিময়ে ৭ বছরের জন্য ৯৫ লক্ষ মার্কিন ডলার মূল্যের কার্বন ক্রেডিট পাবে। যাত্রীসংখ্যা যত বাড়বে, এই পরিমাণ আরও বাড়বে।
জাতিসংঘের বিবৃতির মূল বক্তব্য:
“কিয়োটো প্রটোকলের অধীনে, জাতিসংঘের ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম ইউনিট নিশ্চিত করেছে যে, দিল্লি মেট্রো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে কার্যকরভাবে হ্রাস এনেছে।”
বিশ্বে এই প্রথম কোনো মেট্রো নেটওয়ার্ক এমন কার্বন ক্রেডিট পেল, কারণ এর জন্য বৈজ্ঞানিক ও প্রামাণ্য নথি প্রয়োজন যা দেখাতে পারে যে নির্গমন কমানো হয়েছে।
জাতিসংঘ জানায়:
“যেসব যাত্রী গাড়ি বা বাসের বদলে মেট্রো ব্যবহার করেন, তারা প্রতি ১০ কিলোমিটারে প্রায় ১০০ গ্রাম কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে সহায়তা করেন। এটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
দিল্লি মেট্রোর যাত্রা শুরু হয় ২০০২ সালে, প্রথম লাইন ছিল শাহদরা থেকে রিঠালা পর্যন্ত। বর্তমানে এটি দিল্লি ও আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং কিছু অংশ ভূগর্ভেও চলে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি (২৬ সেপ্টেম্বর)
- ১০৮৭ – উইলিয়াম দ্বিতীয় ইংল্যান্ডের সম্রাট হন।
- ১৭৭৭ – আমেরিকান বিপ্লব: ব্রিটিশ বাহিনী ফিলাডেলফিয়া দখল করে।
- ১৮৭২ – নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রথম উপাসনালয় নির্মিত হয়।
- ১৯৫০ – জাতিসংঘের সেনারা উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের থেকে সিওল পুনর্দখল করে।
- ১৯৫০ – ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের সদস্যপদ গ্রহণ করে।
- ১৯৫৯ – জাপানের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘ভেরা’ আঘাত হানে; ৪৫৮০ জন নিহত এবং ১৬ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়।
- ১৯৬০ – আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে (জন এফ কেনেডি ও রিচার্ড নিক্সন) প্রথম টিভি বিতর্ক সম্প্রচারিত হয়।
- ১৯৮৪ – যুক্তরাজ্য হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়।
- ১৯৯৮ – শচীন টেন্ডুলকার জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে ১৮তম সেঞ্চুরি করে ডেসমন্ড হেইন্সের রেকর্ড ভেঙে দেন।
- ২০০১ – আমেরিকা, ওসামা বিন লাদেনের পর ভারতকে কাশ্মীরি সন্ত্রাস মোকাবিলায় সহায়তার আশ্বাস দেয়।
- ২০০২ – ফ্রান্স ইরাকের বিরুদ্ধে একতরফা সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে।
- ২০০৪ – আমেরিকা ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচির জন্য প্রযুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ২০০৭ – ভিয়েতনামের ক্যান থো শহরে নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে; ৬২ শ্রমিক নিহত।
- ২০০৯ – পূজাশ্রী ভেঙ্কটেশ রশ্মি চক্রবর্তীকে হারিয়ে আইটিএফ মহিলা টেনিস টুর্নামেন্ট জেতেন।
- ২০০৯ – পঙ্কজ আডবাণি ৭৬তম ন্যাশনাল বিলিয়ার্ডস ও স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হন।
- ২০০৯ – টাইফুন ‘কেটসানা’ ফিলিপাইন, চীন, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডে আঘাত হানে; ৭০০ জনের মৃত্যু।
- ২০১১ – দিল্লি মেট্রো প্রথম রেল নেটওয়ার্ক হিসেবে জাতিসংঘের কাছ থেকে ‘কার্বন ক্রেডিট’ পায়।
- ২০১১ – এক বছরে দিল্লির বায়ুদূষণ ৬.৩ লক্ষ টন কমেছে বলে জাতিসংঘ জানায়।
জন্ম (২৬ সেপ্টেম্বর)
- ১৮২০ – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – সমাজসংস্কারক, শিক্ষাবিদ, ও স্বাধীনতা সংগ্রামী।
- ১৮৮৮ – টি. এস. এলিয়ট – নোবেলজয়ী ইংরেজি সাহিত্যিক।
- ১৯১২ – মোহাম্মদ সেলিম – ১৬তম লোকসভার সংসদ সদস্য।
- ১৯২১ – সুভেদার জোগিন্দর সিং – পরম বীর চক্র প্রাপ্ত ভারতীয় সৈনিক।
- ১৯২৩ – দেব আনন্দ – খ্যাতিমান ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক।
- ১৯৩২ – ড. মনমোহন সিং – ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
মৃত্যু (২৬ সেপ্টেম্বর)
- ১৮৪২ – লর্ড ওয়েলেসলি – ১৭৯৮–১৮০৫ পর্যন্ত ভারতের গভর্নর-জেনারেল ছিলেন।
- ১৯৫৬ – লক্ষ্মণ কাশীনাথ কিরলোস্কার – খ্যাতনামা ভারতীয় শিল্পপতি।
- ১৯৫৮ – টি. বি. কুণা – গোয়া মুক্তি আন্দোলনের স্বাধীনতা সংগ্রামী।
- ১৯৭৭ – উদয় শঙ্কর – বিখ্যাত ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার।
- ১৯৮৯ – হেমন্ত কুমার – বিখ্যাত হিন্দি চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক।
গুরুত্বপূর্ণ দিবস
- সি.এস.আই.আর. (CSIR) প্রতিষ্ঠা দিবস
- বিশ্ব মূক ও বধির দিবস
- বিশ্ব গর্ভনিরোধক দিবস

