কলকাতা: অপেক্ষা মাত্রা কয়েক ঘণ্টার। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁলেই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উচ্ছ্বাসে ভাসবে জনতা। বড়দিনে রাস্তায় নেমেছিল দেড় হাজার পুলিশ। করোনা পরবর্তী সময়ে নতুন করে জনস্রোত দেখেছিল পার্কস্ট্রিট। শনিবার রাতেও তেমনই ছবিটা হবে আশা করে মোতায়েন থাকছে অসংখ্য পুলিশ। ভিড় সামলাতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বর্ষবরণের রাতে শহরের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে আড়াই হাজার পুলিশ। আর বছরের প্রথমদিন ১ জানুয়ারিতে থাকবে ২৩০০ পুলিশ। যানজট রুখতে পার্ক স্ট্রিটকে ‘নো পার্কিং জোন’ করা হয়েছে। ‘ওয়ান ওয়ে’ গাড়ি চলবে। পার্ক স্ট্রিটে বাইক কিংবা গাড়ি নিয়ে এলে রাসেল স্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটে গিয়ে পার্কিং করতে হবে।প্রতিবছরের মতো এবারও নববর্ষের উৎসবে নিরাপত্তার উপর জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্ট্রিটে সবথেকে বেশি ভিড় থাকে। সেজন্য বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন অঞ্চলে। পার্ক স্ট্রিটের জন্য আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।
বর্ষবরণের রাতে মোট ৬টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে পার্ক স্ট্রিটকে। আজ নজরদারিতে থাকবেন ১১ জন ডিসি। রবিবার ১ জানুয়ারি ৪টি সেক্টর করা হয়েছে। নববর্ষের দিন থাকছেন সাত জন ডিসি। ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানো হবে। থাকছে ড্রোনের ব্যবস্থাও। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ পার্ক স্ট্রিটে আসেন। তাঁদের সহায়তার জন্য থাকছে ১৫টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ। বর্ষবরণের রাতে পানশালা, হোটেল, রেস্তোরাঁগুলিতে ভিড় থাকে। হোটেল ও রেস্তোরাঁ, পানশালাতেও নজর থাকছে পুলিশের। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মালিকদের বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করতে বলেছে পুলিশ। বড়দিনে শহরে বাইক দৌরাত্ম্য চলেছিল। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, মদ্যপান করে গাড়ি চালানো ও অভব্য আচরণের অভিযোগে বড়দিনের রাত ও দিন মিলিয়ে ৫২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্ষবরণের আগে থেকে শহরে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে খবর, প্রতিদিন শহরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে। বর্ষবরণের রাতেও বাইকবাহিনীর দাপট রুখতে ৯৭ পয়েন্টে নাকা চেকিং থাকছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ২০টি মোটর সাইকেলে করে পুলিশ টহলদারি চালাবে। বিশেষ কুইক রেসপন্স টিম থাকছে ২টি। একটি থাকবে পার্ক স্ট্রিট থানা এবং আর একটি থাকবে মিডলটন রো-তে। ৫৮টি পিসিআর ভ্যানের মধ্যে ২৩টিই থাকবে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে। হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড থাকছে ১২টি। দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় সেজন্য ৭টি অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে। নববর্ষের দিন আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাড়তি নজর থাকছে পুলিশের। যানজট সামলাতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে একজন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকও থাকবেন আলিপুরে। পার্কিং লটে জুলুম রুখতে আজ ও কাল পুলিশের নজর থাকছে।