ফের নিয়োগ নিয়ে প্রতারণা। আর এই প্রতারণায় জড়িয়ে গেলেন বিধাননগর কমিশনারেটের এক কনস্টেবল। আর এই প্রতারণার নামে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ জানান কেষ্টপুরের এক মহিলা। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, এরপর ধর্ষণ ও গোপন মুহূর্তের ছবি তুলে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি এবং মারধরেরও অভিযোগ তোলেন তিনি।
কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানাতে গিয়ে তিনি এও জানান, ফেসবুকেই ওই কনস্টেবলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট। এদিকে স্বামী মদ্যপ তাঁর ওপর অত্যাচার কথায় চালানোর জেরে পারিবারিক সমস্যায় ছিলেন ওই নির্যাতিতা। তাঁর এই পারিবারিক সমস্যার কথা জানান ওই কনস্টেবলকে। একইসঙ্গে মহিলার দাবি, অভিযুক্ত পুলিশেই উচ্চ পদ কর্মরত বলে পরিচয় দেন। সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বিনিময় চাকরি করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।এরপর খেপে খেপে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মহিলার কাছ থেকে নেন। পাশাপাশি ওই মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ে করারও প্রতিশ্রুতি একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গোপন মুহূর্তের ছবিও তুলে রেখে দেন বলে অভিযোগ।
এদিকে দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরও যখন চাকরি পাচ্ছিলেন না ওই মহিলা, তখন তিনি অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা ফেরত চান। তারপর থেকেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। সেই গোপন মুহূর্তে ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। প্রথমে বাগুইআটি থানার দ্বারস্থ হন মহিলা। কিন্তু বাগুইআটি থানার পুলিশ তাঁর অভিযোগ নেয়নি বলেও জানান ওই মহিলা। এরপর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বুধবার সোজা আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানান তিনি। মহিলার মামলাটি গৃহীত হয় বলে আলিপুর আদালত সূত্রে খবর।