মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি। এদিন সল্টলেক-সহ ছয় জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, কৈখালির এক শেয়ার ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকরিকরা হানা দেওয়ার খবর পেয়েই নিজের দু’টি মোবাইল পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। পরে পাশের বাড়ি থেকে সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে থেকে ফের সক্রিয় হল ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ প্রথমে সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা। পরে জানা যায়, বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা নিউ আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা দিয়েছেন। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।
তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, কৈখালির ওই ব্যবসায়ীর দু’টি ফোনে ‘আর্থিক দুর্নীতি’ সংক্রান্ত অনেক তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি সেগুলি লোপাটের চেষ্টা করা হয়। একটি মোবাইলের ব্যাক কভারে আবার ৫০০ টাকার একটি নোটও রাখা ছিল বলে খবর। মোবাইল ফোন দু’টিই ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে সূত্রের দাবি। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন কী ছিল এই মোবাইল ফোনে, যার জন্য তা অন্যের বাড়িতে ছুড়ে ফেলা হয় তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত এপ্রিলে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই গিয়েছিল। তদন্তকারীদের সামনেই তিনি আচমকা তাঁর মোবাইল ফোন দু’টি পাঁচিলের উপর থেকে পুকুরে ফেলে দেন। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে পুকুর ছেঁচতে হয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সে এক কাণ্ড দেখেছিল বাংলা। তবে এবার পুকুর নয় বলে রক্ষা!