আরামবাগ: একদিকে যখন লোকসভা ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মিতালি বাগ তখন অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোঘাটের শাওড়া অঞ্চল। ওই শাওড়া অঞ্চলের বর্মা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আধুলা গোষ্ঠীর সঙ্গে গোঘাট এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্চিত পাখিরা গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রায় ১২ জন আহত হয়। হাত পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও সে এলাকা থেকে পলায়ন করায় তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আহতদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভাঙা হয় একাধিক বাড়ি। এই ঘটনায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে প্রশাসন। ঘটনার সূত্রপাত তৃণমূলের পতাকা বাঁধাকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় সাধারণ তৃণমূল কর্মীদের দাবি দলের নির্দেশ মতো এদিন পতাকা বাঁধার কাজ চলছিল সেই সময় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আধুলা গোষ্ঠীর লোকজন বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। হাত পা ভেঙে যায়। আহত হয় প্রায় বারো জন তৃণমূল কর্মী। দ্রুত থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
ব্লক সভাপতি অনুগামী তথা তৃণমূল কর্মী মোল্লা ইব্রাহিম বলেন,পঞ্চায়েত সদস্যের লোকজন এসে মারধর করে। হাত পা ভেঙে দেয়। তৃণমূল কর্মী হাবিব বলেন, দলের নির্দেশ মতো পতাকা বাঁধা হচ্ছিল। পঞ্চায়েত সদস্য লোকজন নিয়ে এসে মারধর করে। পরিকল্পনা করে মারপিট করা হয়। অপরদিকে গোঘাট এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্চিত পাখিরা বলেন, এটা কাম্য নয়। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। খতিয়ে দেখা হবে। ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামী শেখ রফিক বলেন, তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্যকে বাদ দিয়ে এলাকার কিছু দুষ্কৃতীকে নিয়ে পতাকা বাঁধছিল। ওরাই গন্ডগোল করে। বর্তমানে এলাকাটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ায় গোঘাটের শাওড়া অঞ্চলে।