নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: বুধবার সাত সকালে পুজোর মুখেই শুটআউটের ঘটনা ঘটল কুলটিতে। এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম শম্ভুনাথ মিশ্র ওরফে শম্ভুনাথ পণ্ডিত (৫৫)। তিনি ইসিএলের কোলিয়ারি এলাকায় ঠিকাদারির কাজ করেন ও সুদ কারবারি বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়ি ৩ নম্বর মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কুলটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ চিনাকুড়ি ৩ নম্বর এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চা পান করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন শম্ভুনাথ মিশ্র। সেই সময় মোটর বাইকে তিনজন দুষ্কৃতী এসে শম্ভুনাথকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই ব্যবসায়ীর মাথায়, পিঠে ও হাতে গুলি লাগে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ৬ রাউন্ড গুলি চলেছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু গুলির খোল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পশ্চিম অভিষেক মোদিও ঘটনাস্থলে যান। তিনিও তদন্তে নামেন। যে চায়ের দোকানের সামনে ঘটনা ঘটেছে, সেই চা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই আসানসোলের ভগৎ সিং মোড়ে অরবিন্দ ভগত নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী খুন হন। সেই খুনের ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার ঘটনাস্থলে যান। তিনি অভিযোগ করেন, পুজোর মুখে প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। কারণ অতীতে এরকম ধরনের ঘটনার পুলিশ কিনারা করতে পারেনি। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনের তদন্তের কিনারা না হলে পুজোর মুখেই তারা কুলটিতে আন্দোলনে নামবে।
অন্যদিকে কুলটি প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় পালটা দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে বিজেপির জন্য। সারা রাজ্যজুড়েই বিজেপি দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিচ্ছে। রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে। তিনিও দ্রুত তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন।