রাস্তার বেহাল দশায় প্রশাসন নির্বিকার, কোদাল হাতে সংস্কারে গ্রামবাসীরাই

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: গ্রামের রাস্তা খারাপ, যদিও তা নিয়ে প্রশাসনের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ। কোদাল হাতে রাস্তা সংস্কারে নামলেন গ্রামবাসীরাই। এনিয়ে তরজা শুরু হয়েছে শাসকদল আর বিরোধীদের মধ্যে।
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের সাহসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়লা পুকুর গ্রাম। এই গ্রাম থেকে মঙ্গলপুর যাওয়ার জন্য রয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা। মাঝে রয়েছে দেবখাল, তার ওপর ভগ্ন প্রায় লোহার সেতু। গ্রাম থেকে দেবখাল পর্যন্ত প্রায় হাফ কিলোমিটার রাস্তার একেবারেই বেহাল দশা। বর্ষার সময় যাতায়াতের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে এই রাস্তা। এই রাস্তা দিয়েই গ্রামের ছেলেমেয়েরা ßুñলে যায় মঙ্গলপুরে। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা বারংবার স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন রাস্তা সংস্কারের জন্য, প্রশাসন তাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি। ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতারা আসেন, প্রতিশ্রুতি দেন আর ভোট ফুরালেই তাদের আর দেখা মেলে না। বাধ্য হয়েই এবার তাঁরা নিজেরাই রাস্তা সারাইয়েরû কাজে দল বেঁধে নেমে পড়লেন বলে দাবি গ্রামের মানুষজনের। গ্রামের মানুষরাই ঝুড়ি, কোদাল নিয়ে নিজেদের রাস্তা মেরামত করছেন।
এদিকে গয়লা পুকুরের বেহাল রাস্তা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা লেগেই আছে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু ব¨্যােপাধ্যায়ের দাবি, সিপিএমের ৩৪ বছরের অপশাসনের ™র তৃণমূল সরকার আসা ইস্তক সর্বোচ্চ উন্নয়ন চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রাস্তার টাকা, আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখা সত্ত্বেও সব জায়গায় উন্নয়ন চলছে। তবে যে যে জায়গায় এখনও কাজ বাকি রয়েছে আগামী দিনের, সেই জায়গাগুলিতে কাজ হবে। এখন ভোটের জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বিরোধীদের উস্কানিমূলক আচরণের জন্য মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস জানান, আজকে মানুষ যেখানে ব্যালট হাতে ভোট দেওয়ার কথা, সেখানে কোদাল হাতে রাস্তা তৈরি করছে। আর তৃণমূলের নেতারা সেই রাস্তার বিল করিয়ে খেয়ে নিচ্ছে। তবে এর জবাব আগামী লোকসভা এবং জেলা পরিষদের ভোটে দেবে মানুষ। তিনি বলেন, ‘বারংবার বলছি, যতদিন এই সরকার থাকবে এই বাংলার কোনও উন্নয়ন হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =