রায়দানের আগে সুপারিশ প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ ৬১৮ শিক্ষক

রায়দানের আগে সুপারিশ প্রত্যাহার কেন এই প্রশ্ন তুলে ৯৫২ তালিকাভুক্ত শিক্ষকদের একাংশ ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। সেক্ষেত্রে এরমধ্যে ৬১৮ জনের তালিকা প্রকাশ কীভাবে?’ এই মর্মে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করে মঙ্গলবার জানানো হয় অভিযোগও। প্রসঙ্গত, কমিশনের সোমবারের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছিল তা উল্লেখিত হয়। প্রথম দফায় ৬১৮ জন এবং পরের দফায় বাকিদের ক্ষেত্রেও সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের জন্য পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে। এবার এই ঘটনাতেই ফের আদালতের দ্বারস্থ এই ৬১৮ জন শিক্ষক।

এদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই ৯৫২ জন শিক্ষক। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়। গাজিয়াবাদ থেকে যে ৯৫২টি ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওই শিক্ষকরা। তাঁদের আইনজীবী আদালতে জানান, ওই ৯৫২টি OMR শিট আসল নয়। সেক্ষেত্রে মিরর কপিকে কি প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়? এই নথিগুলি ব্যবহার করেই শিক্ষকদের নিয়ে সিবিআই এবং কমিশন ‘পিংপং বল’-এর মতো খেলছে বলেও মন্তব্য ছিল তাঁর।

একইসঙ্গে ওই আইনজীবী এও বলেন, ‘কমিশন বলছে যে আসল ওএমআর গুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে গাজিয়াবাদ থেকে যে ওআমআর শিট সিবিআই উদ্ধার করেছে তা মিরর ইমেজ বলেই ধরে নিতে হবে।” এর উপর ভিত্তি করে কীভাবে সমস্ত কিছু করা হচ্ছে, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এদিকে সোমবার ৯৫২ জন শিক্ষকের ওএমআর শিট পাওয়া প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ছিল, যদি ওএমআর শিটগুলি মামলাকারী শিক্ষকদের হয় সেক্ষেত্রে কোনও পর্যায়ে তাঁদের কোনও কথাই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সোমবার এই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চ যখন এই মামলায় রায়দান করেনি তারই মধ্যে ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া কীভাবে শুরু হয়, এই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − sixteen =