প্রবল গরমে বিহারের বিভিন্ন জেলায় বাড়ছে মৃত্যু, শ্মশানে দীর্ঘ লাইন

পটনা: বাড়তে থাকা দূষণ, গাছপালা কেটে ফেলার জেরে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। বিশ্ব উষ্ণায়নের গভীর প্রভাব পড়ছে প্রায় সমস্ত দেশের আবহাওয়াতেও।

বাদ পড়েনি ভারতও। রর্ষার মরসুমেও ভারতের একাধিক রাজ্যে চলছে তাপপ্রবাহ। আর তার জেরেই ক্রম বর্ধমান মৃত্যুতে নিভছে না শ্মশানের চিতা! এমনই ভয়াবহ ছবি এবার বিহারের গয়া, ভোজপুর, ভাগলপুর, নালন্দা জেলার একাধিক শ্মশানেও।কোভিডের সময় শ্মশানে মৃতদেহের দীর্ঘ সারি দেখেছিল বিহারের বেশ কয়েকটি জেলা। এবার একাধিক শ্মশানে বাড়ছে মৃতের সারি।

বিহারের বিভিন্ন জেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বর্তমানে ৪৪ ডিগ্রির ধারেকাছে ঘোরাফেরা করছে। গরমের সঙ্গে সঙ্গত করছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। একাধিক সরকারি-বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া দফতর অবশ্য জানিয়েছে, সপ্তাহের শেষে বর্ষার প্রথম বৃষ্টি পেতে পারে বিহার।

বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, গত দু’দিনে সে রাজ্যে ‘হিটস্ট্রোকে’ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগেই সরকারি তরফে জানানো হয়েছিল, তাপপ্রবাহের জেরে সে রাজ্যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু। সংবাদ সংস্থা পিটিআই  জানিয়েছে, শেষ ৪৮ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পাঁচ জন ভোজপুর, তিন জন আরওয়াল এবং এক জন জেহানাবাদের বাসিন্দা। এই পরিসংখ্যানে আরা জেলার উল্লেখ না থাকলেও, জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আরা জেলার ৫ জন বাসিন্দা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। পাঁচটি দেহের ময়নাতদন্ত করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে প্রশাসন। তবে দু’টি দেহের শনাক্তকরণ না হওয়ায়, দুই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হয়নি।

শ্মশানের ‘ডোম’ ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে জানিয়েছেন, গত সাত দিনের পরিস্থিতি তাঁকে কোভিডের সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। একসঙ্গে চার-পাঁচটি দেহ শ্মশানে এসে যাওয়ায় সৎকারের জন্য মৃতের পরিবারকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গঙ্গার ধারে সারাইয়া বাজার শ্মশানেও মৃতদেহ ঢুকছে পর পর। উল্লেখ্য যে, বিহারের বহু শ্মশানেই আধুনিক বৈদ্যুতিন চুল্লি নেই। দেহ সৎকার হয় কাঠের মাধ্যমেই। বেশ কিছু শ্মশানের কাঠের কারবারিরা জানিয়েছেন, কাঠের জোগান প্রায় নেই তাঁদের কাছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =