কলিঙ্গয় পিছিয়ে পড়েও এক পয়েন্ট, একঝাঁক সুযোগ নষ্ট মোহনবাগানের

টানা তিন ম্যাচে ক্লিনশিট রেখে জিতেছিল মোহনবাগান। লম্বা বিরতিতে যাওয়ার আগে টানা চার ম্যাচে জেতা হল না। তিন পয়েন্ট নিয়েই সুন্দর ছুটি কাটাতে চেয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। কিন্তু সেটা হল না। তবে ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়েও অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফেরাটাকেও অবহেলা করা যায় না। ওড়িশা এফসিতে মোহনবাগানের দুই প্রাক্তনী রয়েছেন। তাঁরা যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, সেই আশঙ্কা ছিলই। সেটাই হল।

ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটে নিজেদের ভুলেই পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। অদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবুজ মেরুন শিবির। আশিস রাই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ব্য়াক পাস করেছিলেন। ইচ্ছাকৃত কিনা বোঝার উপায় নেই। তবে মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ তা হাতে ধরায় কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হত রেফারিতে। বক্সের মধ্যে ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিক পায় ওড়িশা এফসি। ওয়াল ভেদ করে জালে বল জড়ান মোহনবাগানের প্রাক্তনী। হুগো বোমাসের গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা।

গ্রেগ স্টুয়ার্ট না থাকায় মোহনবাগান কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল। তবে মোহনবাগানের যা বেঞ্চ স্ট্রেন্থ তাতে কোচ মোলিনা কিংবা সমর্থকরা বিশাল চিন্তায় ছিলেন তা নয়। শুরুতে গোল খাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হলেও দ্রুতই ম্যাচে ফেরে মোহনবাগান। আবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন পেত্রাতোস-মনবীর জুটি। দিমির কর্নারে পাওয়ারফুল হেড মনবীরের। ওড়িশা গোলরক্ষক অমরিন্দর গ্লাভস ছোঁয়ালেও গোল আটকাতে পারেননি। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধের এই দুই গোলই ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়।

ম্যাচের ৭২ মিনিটে মোহনবাগান বক্সে অনবরত আক্রমণ। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়। অনবদ্য দক্ষতায় সামলে দেন গোলকিপার বিশাল কাইথ। সবুজ মেরুন শিবিরে কোনও বিপদ আসতে দেননি। রক্ষণ ভাগ বাকি দায়িত্ব সামলে নেয়। তবে এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্টও নিতে পারত মোহনবাগান। একঝাঁক সুযোগ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে সেট পিসে। ম্যাচের শুরুতে স্টুয়ার্টের অভাব বোঝা না গেলেও সেট পিসের ক্ষেত্রে মনে হচ্ছিল, গ্রেগ থাকলে পরিস্থিতি অন্য হতেই পারত। এ মরসুমে সেট পিস গোলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন গ্রেগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 10 =