যাদবপুরের হস্টেল থেকে পড়ে প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর প্রশ্নের মুখে নবাগতদের নিরাপত্তা। এবার এই নিরাপত্তাকে সুদৃঢ় করতে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর পক্ষে দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের এক বৈঠকও হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও নিয়মাবলী প্রকাশ করার আগে সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পক্ষই পড়ে। তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, সিসিটিভি ইনস্টলেশনের আগে সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট’স ইউনিয়ন বা আফসুর তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সবপক্ষের বক্তব্য ছাড়া কোনওভাবেই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
ইউজিসির নিয়ম মেনে সিসিক্যামেরায় সম্মতি রয়েছে উপাচার্যের, অমত নেই রেজিস্ট্রারেরও। তৃণমূল কিংবা বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলিও মত দিচ্ছে ক্যামেরার নিরাপত্তায় পড়ুয়াদের রাখার পক্ষে। এদিকে সোমবার অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও ওয়েলফেয়ার বোর্ডের বৈঠক ছিল যাদবপুরে। সেখানে নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউও জানান, ইউজিসির গাইডলাইনে সিসিটিভি নিয়ে যা উল্লেখ আছে, তা মানা হবে। তবে গাইডলাইন থাকলেও বাম বা অন্য়ান্য ছাত্র সংগঠনগুলির স্পষ্ট বার্তা আলোচনার মাধ্যমে সর্বজনগ্রাহ্য মতেই পড়বে সিলমোহর।
এদিকে গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের। এই ঘটনাকে সামনে রেখে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, সিসিটিভি বসানো হবে। যদিও এখনও তা বসেনি। তবে বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছে, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসিয়ে ‘মুক্তমনা চিন্তাভাবনায় হস্তক্ষেপ’-এ তাদের সম্মতি নেই। অন্যান্য ইউনিয়নগুলিও বলেই দিয়েছে, আলোচনা ছাড়া কিছুই করা যাবে না। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টও যাদবপুরের একটি মামলায় ছাত্র ইউনিয়নকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ এই ছাত্রদের বক্তব্য যে আদালতের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে।