২০২২ আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল মূল আকর্ষণ, জঁ-লুক গদার আর অমিতাভকে নিয়ে প্রদর্শনী

শুভাশিস বিশ্বাস

২০২২ কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মুখ্য আকর্ষণ চলচ্চিত্র জগতের দুই কিংবদন্তীকে নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী। একটির নাম ‘অমিতাভ বচ্চন এ লিভিং লিজেন্ড’। এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হচ্ছে ভারতীয় বাণিজ্যিক সিনেমার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ অমিতাভ বচ্চনকে। ঠিক তেমনই তারই পাশাপাশি ফরাসি নুভেল ভাগ-এর পুরোধাদের মধ্যে থাকা সদ্য প্রয়াত চিত্রপরিচালক জঁ-লুক গোদারকে নিয়েও হচ্ছে আরও একটি প্রদর্শনী। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জঁ-লুক গোদারদ্য ইমমর্টাল অবজেক্ট অফ আর্ট’। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই প্রদর্শনী। এই দুই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে গগেন্দ্রনাথ প্রদর্শনশালা এবং নন্দন অলিন্দে।

জঁ-লুক গোদারের কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু ঠিক বিশেষত্বটা তাঁর কোথায় সে ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই সম্যক জ্ঞান নেই। ষাটের দশকে প্রথাসিদ্ধ আখ্যানরীতিতে এক বিরাট পরিবর্তন ঘটান এই জঁ-লুক গোদার। ‘সিনেমা ইজ ট্রুথ অ্যআট টুয়েন্টি ফোর ফ্রেমস পার সেকেন্ড’-গোদারের এই উক্তি আজ চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের কাছে এক আপ্তবাক্যের মতোই। সব সিনেপ্রেমীই গোদারকে বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে এক অনন্য স্রষ্টা হিসেবে মনে করেন।

এদিকে অমিতাভ বচ্চন ভারতীয় সিনেমায় এক বটবৃক্ষসম। ‘শোলে’, ‘জঞ্জির’, ‘দিওয়ার’, ‘ডন’, ‘অগ্নিপথ’-এরকম হাজারো ছবি রয়েছে যেখানে কাকে ছেড়ে কাকে প্রথমে রাখা হবে তা বলা বড় কঠিন। যত সময় গেছে তত যেন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে তাঁর অভিনয়ে। ১৯৭১-এ মুক্তি পাওয়া আনন্দ-এ দেখা ডা. ভাস্কর ব্যানার্জি-র মধ্যে যে কী প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে তা হয়তো তখনও বুঝতে পারেননি অনেকেই।  কারণ, এর আগে তেমন ভাবে দাগ কোনও সিনেমায় কাটতে পারেননি অমিতাভ। আর এই অবস্মরণীয় অভিনয়ের জন্যই তাঁর শিরোপায় যোগ হয়েছে একের পর এক পালক। ১৯৯০-এ ‘অগ্নিপথ’-এ দীননাথ চৌহানের চরিত্রের জন্য পান প্রথম জাতীয় পুরস্কার। এরপর আরও তিনবার এই শিরোপায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। আর তা হল ‘ব্ল্যাক’, ‘পা’ আর ‘পিকু’র জন্য।  এছাড়াও দেশে বিদেশে পেয়েছেন নানা পুরস্কার। কিন্তু সময়ের স্রোতে সে সব ফিল্মের পোস্টার আর শ্যুটিং দেখা হয়ে ওঠেনি বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশের। এবার সেই সুযোগ করে দিতে চায় কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম উৎসব কমিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + 20 =