নদিয়ার বেথুয়াডহরির মাটিতে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় পদে বসা জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে বৃহস্পতিবার দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা ইস্যুতে বিদ্ধ করতে। অন্যদিকে, তাঁর গলায় শোনা গেল মোদি সরকারের জয়গান।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর ‘চোর ধরো, জলে ভরো’ কথা টেনে এনে তিনি বলেন, ‘একবার কমল অর্থাৎ পদ্ম ছাপে ভোট দিন। চোর ধরেও দেব, জলে ভরিয়েও দেব।’ এরই রেশ ধরে, বর্তমান শাসকদলের আমলে কয়লা, গোরু পাচার থেকে আবাস যোজনা, মনরেগায়ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এরই রেশ ধরে মোদি সরকারের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, পূর্বতন দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ এখন এককালে পরাধীন করে রাখা ব্রিটিশদেরও পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে। তার জেরে ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ।
শুধু তাই নয়, এদিন কোভিডের ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গ টেনে এনে নাড্ডা বলেন, ‘কেউ কখনও ভেবেছিল ভারত ‘দেনেওয়ালা ভারত’ হবে? ভারত সবসময় ‘লেনেওয়ালা ভারত’ ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে এই বদল।’ এরই পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন জেপি নাড্ডা। এখানেই শেষ নয়, শাসক দলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘নিজেরা দুর্নীতি করবে তাতে কোনও লজ্জা নেই। তদন্তের কথা উঠলেই ক্ষেপে ওঠেন। নিজেরা চুরি করবে, দুর্নীতি করবে আবার নাকি তদন্তের কথা বললেই কেন্দ্র শত্রু। অর্থাৎ চুরিও করবে, গা জোয়ারিও করবে।’ তৃণমূলের পাশাপাশি এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বিদ্ধ করেন কংগ্রেসকেও।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউনের হোটেলের সামনে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে মেয়াদ বৃদ্ধি উপলক্ষে জেপি নাড্ডাকে সংবর্ধনা দেয় রাজ্য বিজেপি। তার পরই নদিয়ায় মায়াপুরে ইসকনের মন্দিরে যান। তারপর বেথুয়াডহরির জুনিয়র ইস্টবেঙ্গল ময়দানে জনসভা করেন।