ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা নাইট রাইডার্স বোলিংয়ে অন্যতম ভরসা বরুণ চক্রবর্তী। আইপিএলের গত মরসুমেও নজর কেড়েছেন। এ বার তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগেও দুর্দান্ত বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর স্পেলের সৌজন্যে ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল ডিন্ডিগুল ড্র্যাগন্স। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিপক সুপার গিলিজের অধিনায়ক নারায়ণ জগদীশন। আইপিএলে তিনিও কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেছেন। যদিও আহামরি পারফর্ম করতে পারেননি। হাতে গোনা কয়েক ম্যাচেই সুযোগ পান। প্রথমে ব্যাট করে জগদীশনদের ১৭১ রানের লক্ষ্য দেয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নেতৃত্বাধীন ডিন্ডিগুল ড্র্যাগন্স। দুই ওপেনার কিছুটা রান করলেও হঠাৎই ব্যাটিং বিপর্যয়। মাত্র ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। আদিত্য গণেশ (৪৪), শরৎ কুমার (২৫), সুবোধ ভাটিদের (১৩ বলে ৩১ রান) সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭০ রান করে ডিন্ডিগুল ড্র্যাগন্স। রান তাড়ায় শুরুতেই জোড়া উইকেট (১৫-২) হারায় চিপক। নারায়ণ জগদীশন ৩৭ রান করলেও স্ট্রাকরেট ১০০-র সামান্য বেশি। তাঁকে লেগ বিফোর করেন কেকেআরে সতীর্থ বরুণ চক্রবর্তী। বাবা অপরাজিত বিধ্বংসী ব্যাটিং করছিলেন। অবশেষে অপরাজিত ফিরিয়ে জয়ের আশা জাগান বরুণ চক্রবর্তী। ৪০ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন বাবা অপরাজিত। বাবা অপরাজিতের অনবদ্য ইনিংসেও অবশ্য ম্যাচ জিততে ব্যর্থ চিপক। ডিন্ডিগুল ড্র্যাগন্সের রুদ্ধশ্বাস জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা বরুণ। অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবশ্য এই ম্যাচে ব্যাটে-বলে কোনও অবদান রাখতে পারলেন না। ব্যাটিংয়ে ৬ বলে মাত্র ১ রান করেছিলেন। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৩৬ রান দেন অশ্বিন। তিনি এই ম্যাচে ভালো পারফর্ম না করতে পারলেও জিততে সমস্যা হয়নি। ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং পারফরম্যান্সই।