বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। আগামী ৫ বছর বিশ্ব অর্থনীতির (World Economy) দুর্দশা আরও ঘনীভূত হবে। অর্থনীতির অধঃপতন এতটাই বাড়তে চলেছে, যে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০২১ সালের ৬.১ শতাংশ থেকে সোজা ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে। এমনটাই দাবি আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এবং চিনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞদের বৈঠকের কথা। তার আগে ক্রিস্টালিনার মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনুমান, বিশ্বের মোট আর্থিক বৃদ্ধির অর্ধেকটাই হবে ভারত এবং চিনের অবদান।’ আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সতর্কবার্তা, প্রথমে করোনা ভাইরাস এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতির যে অধঃপতন শুরু হয়েছিল, সেটা চলতি অর্থবর্ষেও চলবে। মন্থর আর্থিক বৃদ্ধির এই সময়কাল আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে।
আইএমএফ-এর পূর্বাভাস, আগামী পাঁচ বছর বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি ৩ শতাংশেরও কম হতে চলেছে। ১৯৯০ সালের পর এটাই আইএমএফ-এর সর্বনিম্ন বৃদ্ধির পূর্বাভাস। তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে কম বৃদ্ধির সাক্ষী হতে পারি আমরা।’ এর ফলে বিশ্ব জুড়ে বেকারত্ব, ক্ষুধা এবং দারিদ্র বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।