হুগলি: হুগলির আরামবাগ মহকুমার মায়াপুর থেকে গড়েঘাট পর্যন্ত রাজ্য সড়কের দুই পাশে মুণ্ডেশ্বরী নদী থেকে ভেঙে অরোরা খালের সৃষ্টি হয়েছে। এই রাজ্য সড়কের দুই পাশে অরোরা খালের ওপর অসংখ্যা বেআইনি নির্মাণ হয়েছে এবং বর্তমানেও হয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ করছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। তাঁর দাবি, খালের ওপর বেআইনি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার কয়েক হাজার চাষি চাষের জন্য সেচের জল পাচ্ছে না। তাছাড়া হুগলি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বন্যাপ্রবণ এলাকা হল আরামবাগ মহকুমার খানাকুল বিধানসভা। এই জন্য আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে অরোরা খাল সংস্কার করা হয়। যাতে করে একদিকে খাল উপচে যাতে বন্যা না হয় তা নিয়ন্ত্রণ করা তেমনি এলাকার চাষিদের চাষের কাজের জন্য জল সরবরাহ করা। অভিযোগ এই বছর বোরো ধান চাষের জন্য জলাশয় থেকে জল ছাড়া হলেও অরোরা খালের ওপর বেআইনি নির্মাণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জল সব জায়গায় সমানভাবে পৌঁছয়নি। চাষিরা জমিতে চাষের জন্য জল না পেয়ে হতাশায় ভুগতে থাকেন। খানাকুলের স্থানীয় চাষি অভিযোগ সিপিএমের আমলে বেআইনি নির্মাণ হলেও তৃণমূলের আমলে তারচেয়ে বহুগুণ বেআইনি নির্মাণ বেড়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যার ফলে অরোরা খালের ওপর দিয়ে জল স্বাভাবিক গতিতে প্রবাহিত হতে না পেরে কোনও কোনও জায়গায় মজে গিয়েছে। এই বিষয়ে খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এই ব্যাপারে বহু আন্দোলন করেছি। বিএলআরও থেকে শুরু করে আরামবাগ মহকুমা শাসককে জানিয়েছি। কিছুদিন আগে খানাকুল থানা থেকে মাইকিং করে বেআইনি নির্মাণ বন্ধের জন্য ঘোষণা হল। কিন্তু ঘোষণা হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। রাস্তার দুই পাশে অরোরা খালের উপর বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। তৃণমূল নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে খালের ওপর অবৈধ নির্মাণ করাচ্ছে। আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর যে যে এলাকায় অবৈধ নির্মাণ হয়েছে সেই এলাকার পঞ্চায়েতের মাধ্যমে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেব। প্রাকৃতিক সম্পদকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে দেওয়ার চেষ্টা করব। অপরদিকে, অরোরা খালের ওপর এই বেআইনি নির্মাণ সম্পর্কে আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবমিলিয়ে এখন দেখা খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিদের স্বার্থে জলসেচ ব্যবস্থা সচল রাখতে অরোরা খালের ওপর বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।