নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: কালী মায়ের কাছে মানত করলেই মিলবে চাকরি, যে কারণে কালী মায়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সার্ভিস কালী’।
আজ থেকে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ বছর পূর্বে সোনামুখীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আস্তাকুড়ে কালী মায়ের আরাধনা করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনশ্রুতি রয়েছে প্রায় ৮০ বছর পূর্বে স্থানীয় একদল যুবক মায়ের কাছে মানত করে চাকরি পেলে মায়ের পুজোর দায়িত্ব তারা নেবে। মা তাঁদের কথায় সন্তুষ্ট হন এবং প্রত্যেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন দপ্তরে চাকরিও পেয়ে যান কয়েক বছরের মধ্যে।
তারপরেই মাকে আস্তাকুড় থেকে নিয়ে এসে পাড়ার মাঝে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে ধুমধাম করে পুজো দেন সেই বছর ওই যুবকরা এবং সেই বছরই কালী মায়ের নামকরণ করা হয় ‘সার্ভিস কালী’। পরে অবশ্য বর্তমান প্রজন্মের মানুষরা ষোল আনার পক্ষ থেকে এই পুজো করেন তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘ষোলআনা সার্ভিস কালী’। এলাকার মানুষের বিশ্বাস, মায়ের কাছে মানত করলে চাকরি মিলবেই, যে কারণে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকরা প্রতিবছর মায়ের কাছে মানত করে যান, চাকরি পেলে মাকে এসে পুজো দেন তাঁরা।
বর্তমানে পূজা উদ্যোক্তা জানান, তাদের এই কালীপুজোর কথা সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়েছে যে কারণেই শুধুমাত্র সোনামুখীর নয় রাজ্যের এবং রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষিত বেকার যুবকরা মায়ের কাছে মানত করেন এবং এসে পুজো দিয়ে যান। এবার নাকি এই সংখ্যাটা দেশ থেকে বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে অর্থাৎ এবার নাকি মায়ের কাছে মানত করে বিদেশে এক ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন তিনিও আসছেন পুজো দিতে।