কলকাতা: পার্কসার্কাসে গুলিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে এত তরুণী ও পুলিশ কর্মীর। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন চোডুপ লেপচা নামে ওই পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছে, মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তারপরেও কেন তাঁকে এই ডিউটিতে রাখা হল? হাতে দেওয়া হল আগ্নেয়াস্ত্র? উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর চোডুপ লেপচা প্রথমে এসটিএফে যোগ দেন। সেই সময় অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদে অভিযান চালান। সেখানে গাড়ি থেকে মাঝপথেই নেমে পড়েছিলেন। ফেসবুক লাইভ করারও চেষ্টা করেন। অন্যান্য পুলিশকর্মীরা এনকাউন্টারে তাঁকে মেরে ফেলতে পারে বলে আতঙ্কে ভুগছিলেন। মানসিক সমস্যা যে রয়েছে তা আঁচ করেন অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। অভিযানের মাঝেই দু’জন পুলিশকর্মী তাঁকে নিয়ে কলকাতা ফিরে আসেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মানসিক চিকিৎসাও করানো হয়। সূত্রের খবর, চোডুপ মাদকাসক্তও ছিলেন।
আত্মঘাতী পুলিশকর্মীর সহকর্মীদের দাবি, মানসিক চিকিৎসার পরেও নানারকম অস্বাভাবিক আচরণ করতেন তিনি। মানসিক সমস্যার চিকিৎসার পরেও কেন তাঁকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হল? কেনই বা তাঁর হাতে দেওয়া হল আগ্নেয়াস্ত্র? শুক্রবারের ঘটনার পর এমনই নানা প্রশ্নের ভিড়। যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিপি বিনীত গোয়েল চোড়ুপের মানসিক সমস্যা যে আগে থেকেই ছিল, সে বিষয়ে কিছুই জানাননি। মানসিক অবসাদে ভোগার সম্ভাবনার কথাই শুধুমাত্র তাঁর গলায় শোনা যায়। এদিকে, ঘটনার পরই ওই এলাকার বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, ঘটনার ঠিক কিছুক্ষণ আগে একটি বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে উঠেছিলেন চোডুপ। নীচে নেমে আসার পর এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে। ঠিক কী কারণে সিঁড়ি দিয়ে ওই বাড়িটিতে উঠেছিলেন তা এখনও অস্পষ্ট।