আপার প্রাইমারির নিয়োগ জট কাটতে চলেছে এবার। আপার প্রাইমারিতে ১৩ হাজারের বেশি শূন্যপদের তালিকা পেয়ে গিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কোর্টের অনুমতি পেলেই এক-দেড় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে কমিশন। সব ঠিকঠাক থাকলে পুজোর ছুটির পরই নিয়োগপত্র হাতে পাবেন চাকরি প্রার্থীরা। খুব তাড়াতাড়িই স্কুলে যোগ দিতে পারবেন শিক্ষকরা। এমনটাই জানান স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। পাশাপাশি জানান, মেধা তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। যথাসম্ভব নির্ভুলভাবেই তা করার চেষ্টা করেছে কমিশন। এবার আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা।
২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে টেট হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে বাতিল হয় সেই তালিকা। বদলে ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে তা স্কুল সার্ভিস কমিশন কার্যকর করতে পারেনি। শুধুমাত্র প্রার্থীদের ইন্টারভিউ সম্পন্ন হয়। এরপর মেধা তালিকা প্রকাশ হয়েছে। এবার কাউন্সেলিংয়ের পালা।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘আপার প্রাইমারির চাকরি একেবারে শেষ ধাপে। আদালতের অনুমতিক্রমেই আমরা একটা মেধা তালিকা বা প্যানেল প্রকাশ করেছি। ২৫ অগাস্ট তা প্রকাশ করা হয়। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের এজলাসে এই মামলা আছে। তবে পিটিশনারদের পক্ষ থেকে কিছু ল’পয়েন্ট জমা পড়েছে। তার উত্তর দিতে হবে আমাদের। সেটা দিয়ে পরবর্তী শুনানি যখন হবে, আমরা আশাবাদী নিশ্চয়ই কাউন্সেলিংয়ের অনুমতি পাব।’
কমিশন চেয়ারম্যান জানান, মেধাতালিকায় ১৩ হাজার ৩৩৪ জনের নাম আছে। অনেকে ওয়েটিং লিস্টেও আছেন। কাউন্সেলিংয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অন্তত সাতদিন সময় লাগে প্রার্থীদের প্রস্তুত হতে আসার জন্য। কমিশন চেয়ারম্যানের কথায়, ‘অনেকে উত্তরবঙ্গে থাকেন। তাঁদের যদি এখনই ডাকি, আগামীকালই তো চলে আসতে পারবেন না। দিন সাতেক সময় দিতেই হয়।’
এ সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত শূন্যপদের তালিকা কম্পিউটার সিস্টেমে আপলোড করে প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন। আদালতের অনুমতির পর আরও তিন সপ্তাহ বড় জোর সময় লাগতে পারে। ধাপে ধাপে শুরু হবে কাউন্সেলিং। প্যানেলভুক্তদের প্রথমে ডাকা হবে। এরপর ডাক পাবেন ওয়েটিং লিস্টে যাঁরা আছেন। এরপর সুপারিশ পত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে আরও মাস দেড়েক।