‘কারও সমস্যা হলে হোক, আগে দেশ…,’ বোর্ডের সিদ্ধান্তে বিধ্বংসী ব্যাটিং কাপ্তানের

বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তিখ এটাই এখন ভারতীয় ক্রিকেট মহলে হট টপিক। ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য বোর্ডের নতুন বার্ষিক চুক্তি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দেশের একাধিক বর্তমান থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তাঁদের মতামত তুলে ধরছেন। ঈশান কিষাণ ও শ্রেয়স আইয়ারকে বোর্ড আপাতত বার্ষিক চুক্তিতে রাখেনি। তা নিয়ে আলোচনা থামছেই না। ঘরোয়া ক্রিকেটকে প্রাধান্য না দেওয়ার শাস্তি পেয়েছেন ঈশান-শ্রেয়স। তাঁরা এ ব্যাপারে এখনও কিছু বলেননি। কিন্তু তাঁদের বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তিতে না থাকার জন্য এক এক করে মতামত জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রবি শাস্ত্রীরা। এ বার এই তালিকায় যোগ দিলেন ভারতের প্রথম বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন তিরাশির বিশ্বজয়ী ক্যাপ্টেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কপিল দেব এ বার বোর্ডের চুক্তি নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। কারও না না করে কপিল দেব বলেছেন, ‘কয়েক জন ক্রিকেটারের সমস্যা হবে, তা ঠিক। কিন্তু আমি বলব সেটা হলে হোক। দেশের আগে যে কিছু নেই।’ বোর্ডের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কাপ্তান বলেছেন, ‘আমি বিসিসিআইকে শুভেচ্ছা জানাই ঘরোয়া ক্রিকেটের মর্যাদা রক্ষার জন্য এই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হল বলে। ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পর ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব না দেওয়ায় আমি দুঃখ পাই। উপযুক্ত সময়ে বিসিসিআই এই শক্তিশালী পদক্ষেপ নিল। যার ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটের মর্যাদা পুনরুদ্ধার হবে। এবং ঘরোয়া ক্রিকেট আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে দেশের সকল ক্রিকেটারদের বার্তা দেওয়া হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটকে অতি অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। ঈশান কিষাণ ও শ্রেয়স আইয়ার রঞ্জি ট্রফিকে গুরুত্ব না দিয়েই বিপাকে পড়েছেন। কপিল দেব মনে করেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারদের উচিত ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতি ঋনী থাকা। তাঁর কথায়, ‘আমি সব সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নিজ নিজ রাজ্যের হয়ে খেলার জন্য উপলব্ধ থাকার প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললে ঘরোয়া ক্রিকেটাররাও তাঁদের অভিজ্ঞতা জানতে পারে। এ ছাড়াও একজন ক্রিকেটারকে তৈরি করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার দ্বারা যে পরিষেবাগুলি দেওয়া হয়, তার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারদের উচিত নিজের রাজ্যের হয়ে খেলার সুযোগের না অবহেলা করা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 7 =