বেড়ানো হোক বা কাজ, কখনও আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে দূরপাল্লার ট্রেন সফর করতেই হয়। কখনও সেটা ২৪ ঘণ্টা কখনও ৩৬ ঘণ্টার ওপর ট্রেনে থাকা। দীর্ঘ ট্রেন যাত্রা বেশিরভাগ সময়ই বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে আসে সেটা হল খাওয়া।
প্যান্ট্রিকারের খাবার বেশিরভাগ সময়ই সুস্বাদু হয় না। তার ওপর দামও খুব একটা কম নয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ক্ষিদের সময় সেই খাবার আসতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই অনেকেই খাবার নিয়ে যান। বাড়ির খাবার। বিশেষত বাচ্চা থাকলে, সেটা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।
দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রায় কোন খাবার নিয়ে যাবেন, যা গরমেও নষ্ট হবে না!
থেপলা-ট্রেনে কিন্তু খাবার গরম করার সুযোগ নেই। তাই এমন খাবার হতে হবে যাতে ঠান্ডা হলেও খাওয়া যায়। থেপলা এক্ষেত্রে অবশ্যই ভাল অপশন।গুজরাতে জনপ্রিয় এই খাবার ২-৩ দিন ভাল থাকে, নরমও থাকে। এটা একেবারে পাতলা পরোটার মতো।
উপকরণ-আটা, সাদা তেল অথবা ঘি, টক দই, নুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জোয়ান, হিং।
কীভাবে করবেন-আটায় স্বাদমতো নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, হিং মেশান। এরপর ঘি দিয়ে ময়ান দিন। তারপর মেশাল ২ চামচ টক দই। ভাল করে মেখে নিন। তারপর ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ টাকা মাখাটা রেখে দিন।চাইলে মেথি পাতা ধুয়ে, কুঁচিয়ে আটা মাখার সময় যোগ করতে পারেন।
তারপর ছোট ছোট লেচি করে পাতলা রুটির মতো বেলে নিন।কড়াইতে এপিঠ, ওপিঠ সেঁকে সামান্য ঘি বা সাদা তেল দিয়ে ভেজে নিন। এর সঙ্গে সেদ্ধ লঙ্কা নুন দিয়ে ও আচার নিয়ে নিন।
পরোটা- বাঙালির তিন কোনা পরোটা হোক বা মোটা মোটা ছাতুর পরোটা, আলুর পরোটা। ট্রেন জার্নিতে পরোটা কিন্তু খুব ভাল। আচার দিয়ে খেয়ে নেওয়া যায়। চাইলে সঙ্গে আলুভাজা রাখতে পারেন। বাচ্চারা এটা খুব ভালবাসে। পরোটা বা আলুভাজা চট করে খারাপ হবে না।
এবার আসি বাচ্চাদের কথায়। তারা কিন্তু বোর হয়ে গিয়ে নানারকম বায়না করবে। তাই মেন কোর্সের পাশাপাশি স্ন্যাক্স রাখতে হবে।
মাখানা, বাদাম রোস্ট-
মাখানা খুব হেলদি। কড়াইতে এক চামচ ঘি দিন। গরম হলে স্বাদমতো নুন দিন। তারপর মাখানা, আমন্ড, বাদাম দিয়ে হাল্কা করে ভেজে নিন। ওপর থেকে একটু গোল মরিচ ছড়িয়ে দিন। তারপর কৌটোয় ভরে ফেললেই, ট্রেনে আর খাবারের অসুবিধে হবে না।
পপকর্ন- ট্রেনে মুখ চালানোর জন্য পপকর্ন নিয়ে যেতে পারে। বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে খেতে বেশ ভালই লাগবে।
মুড়ি-কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে তাতে শুকনো লঙ্কা ও জিরে ফোড়ন দিন। তারপর মুড়ি ভাজুন। সঙ্গে মিশিয়ে নিন চানাচুর। দিন স্বাদমতো নুন। তারপর? ট্রেনে বসে জমিয়ে খান। চাইলে তার সঙ্গে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা মিশিয়ে নিন।এভাবে মুড়ি ভাজলে বেশ কুড়মুড়ে হয় খেতে।
কেক, বিস্কিট, ফল- পাশাপাশি কেক, বিস্কিট, কুকিজ, কলা, আপেল, আঙুর বিভিন্ন ধরনের ফল সঙ্গে রাখুন।তবে যদি শীতকাল ও এসি কামড়ায় যান তাহলে সঙ্গে চিকেন, পনির, আলুরদম-সহ অনেক কিছুই রাখতে পারেন সঙ্গে।