এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের কাছে লজ্জার হার। বিশ্বকাপে হতাশার পারফরম্যান্স। সদ্য দেশে ফিরেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। এর মাঝেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে অন্ধকার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডও স্বয়ংশাসিত সংস্থা। সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার। তারই জেরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে নির্বাসন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার বোর্ডের।
কিছুক্ষণ আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে এ কথা। সদস্য হিসেবে নিয়ম মানতে ব্যর্থ হয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। এমনটাই জানিয়েছে আইসিসি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাসনের পরিস্থিতি কী হবে, তা কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে।’
আগামী ২১ নভেম্বর আইসিসি বোর্ড মিটিং। তার ওপরেই নির্ভর করবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। ২০২৪ সালের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। নির্বাসন না তোলা হলে এই টুর্নামেন্ট কোনও ভাবেই আয়োজন করতে পারবে না শ্রীলঙ্কা। শুধু তাই নয়, কোনও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল।
বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ৫৫ রানেই অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। সেমিফাইনাল দূর অস্ত, বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে মাত্র দুটি জয়। বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে সর্বসম্মত ভাবে প্রস্তাব পাস করা হয়। তারই ভিত্তিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের গভর্নিং বডিকে ছাঁটাই করা হয়। শাসক-বিরোধী উভয় দলই পার্লামেন্টে এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়। বিরোধী দলনেতা একটি প্রস্তাব তোলেন, দুর্নীতিপরায়ণ শ্রীলঙ্কা ম্যানেজমেন্টকে ছাঁটাইয়ের জন্য।
সোমবার শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রনসিঙ্ঘে শ্রীলঙ্কা বোর্ড ভেঙে বিশ্বজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক অর্জুন রণততুঙ্গাকে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব দেন। রণতুঙ্গার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটিও গড়া হয়। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতরে পুলিশি নিরাপত্তারও ব্যবস্থা হয়। এর আগে আইসিসি কোনও পূর্ণ সদস্য দেশকে নির্বাসিত করেছিল ২০২১ সালে। সরকারি হস্তক্ষেপের জেরেই জিম্বাবোয়েকে নির্বাসিত করেছিল আইসিসি।