২০২৮ লস এঞ্জেলস অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উত্তুঙ্গ জনপ্রিয়তাই অস্ত্র হচ্ছে আইসিসি-র। আরও ভাল করে বললে, বিরাট কোহলির জনপ্রিয়তা। গত সপ্তাহে অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে একটা অডিও ভিস্যুয়াল প্রেজেন্টেশন দিয়েছে আইসিসি।
প্রসঙ্গত, ২০২৮ লস এঞ্জেলস অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। তা, আইসিসি অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখে যে প্রেজেন্টেশন দিয়েছে, তাতে ভারতে ক্রিকেটের তুমুল জনপ্রিয়তাকেই তুলে ধরা হয়েছে। দেখানো হয়েছে, বিরাট কোহলি, মিতালি রাজের মতো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আইকনদের। ক্রিকেট মাঠে যেমন, মাঠের বাইরেও কোহলির জনপ্রিয়তা অতুলনীয়। ইনস্টাগ্রামে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের ফলোয়ার সংখ্যা ২১৬ মিলিয়নেরও বেশি। বিশ্বের যেখানেই যান না কেন, ভক্তদের ভালবাসার অত্যাচার সহ্য করতে হয় কোহলিকে। মিতালি আবার মহিলা ক্রিকেটের যুগন্ধর ব্যক্তিত্ব।
তবে শুধুমাত্র কোহলি-মিতালির জনপ্রিয়তাই নয়, অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কী ভাবে আর্থিক সুযোগসুবিধে হবে অলিম্পিক কমিটির, সেটাও প্রেজেন্টেশনে পেশ করেছে আইসিসি। খবর হল, মাসখানেক আগে এই প্রেজেন্টেশন মোটামুটি তৈরি করা হয়ে গেলেও জমা করা হয়েছে গত সপ্তাহে। তবে মনে করা হচ্ছে, তাতে কোনও অসুবিধে হবে না।
আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে মুম্বইয়ে যে আইওসি বৈঠক হওয়ার কথা আছে, তাতে এই দেরির প্রভাব পড়বে না বলেই ধরা হচ্ছে। অলিম্পিকের মতো খেলার আসরে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াস বহুদিনের। অতীতে কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট দেখা গেলেও অলিম্পিকে কখনও ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এবার দেখার, শেষ পর্যন্ত কী হয়। যদি সত্য়িই শেষ পর্যন্ত অলিম্পিকের আসরে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে যে তা খেলাটির অনুরাগীদের জন্য তা দারুণ খবর হবে তা বলাই বাহুল্য।