কলকাতা: দার্জিলিং হোক বা চন্দননগর, কিম্বা অন্য কোনও জায়গা, আই লাভ দার্জিলিং, আই লাভ চন্দননগর লেখা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এই লেখাগুলো সেলফি জোন হয়ে উঠেছে।
কিন্তু তাই বলে ‘আই লাভ ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশান ’! এরকমই একটি লেখার ছবি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে এই ধরনেরই লেখা চোখে পড়ে। একই ধাঁচেই লেখা বসানো হয়েছে শ্মশানের সামনে! তা নিয়ে চড়ছে মজার পারদ। কেউ আবার বলছেন শ্মশান নিয়েও ছেলেখেলা!
প্রাথমিক ভাবে এমনটা মনে করা হলেও, একটু সময় গড়াতেই বোঝা যায়, এই লেখা সত্যি নয়। কেউ বা কারা ফোটোশপ করে এই কাজ করেছে। সোমবার সাংবাদির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিলেন সেই কথাই। বললেন, পুরো ঘটনাটিই মিথ্যে। যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথাও বলেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ একটা ছড়িয়ে দিয়েছে ব্যস। আসলে এটা হয়নি বলছে, মিথ্যে কথা। শ্মশানকে কেউ ভালোবাসি বলতে পারে, যেখানে মানুষের জীবন শেষ হয়ে যায়? মর্মে মর্মে মানুষ সেই যন্ত্রণা উপলব্ধি করে। এমন কোনও পরিবার নেই, যাঁদের কোনও না কোনও দিন অন্তত শ্মশানে যেতে হয়নি। তাই সেই শ্মশান নিয়েও উৎসব করে, তাদের আমি ধিক্কার জানাই ধিক্কার জানাই ধিক্কার জানাই। আমি সিপি-কে বলব এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে। ’
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ফেক খবর নিয়েও সরব হন। তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘কাল থেকে মিডিয়ার একাংশ অনেক ফেক নিউজ চালাচ্ছে, হেট স্পিচ দিচ্ছে। আমি হেট স্পিচ অ্যালাও করব না। তোমরা আমায় গালাগালি দাও, ঠিক আছে। কিন্তু হেট স্পিচ অ্যালাও করব না।’
সোমবার সকাল থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করে ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানের ওই ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে কেওড়াতলা শ্মশানের সামনে লেখা ‘আই লাভ ক্যাওড়াতলা’। এই বিষয় নিয়ে যে আগে থেকে মুখ্যমন্ত্রী কিছু জানতেন না। প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট করে দেন, এই ঘটনা সত্য নয়।