‘যে মাঠে বলেছিল খেলা হবে, তার দখল নিতে এসেছি।’ সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ৫০ দিনের ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষ হয়েছিল গত ২২ ডিসেম্বর। এর পর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার ব্রিগেডে হল ‘ইনসাফ সমাবেশ’। সেই মঞ্চে উঠে ‘ ক্যাপ্টেন’
মীনাক্ষী বলেন, ‘যে মাঠে বলেছিল খেলা হবে, তার দখল নিতে এসেছি।’ তিনি জানান, ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার পাঠ পড়ে মাঠ ছাড়ব। তাঁর কথায়, ‘গোটা রাজ্যের রাজনীতির যখন দখল নেয় বামেরা, তখন ডানদিকের অসুবিধা হয়।’
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ৫০ দিনের ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষ হয়েছিল গত ২২ ডিসেম্বর। এর পর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার ব্রিগেডে হল ‘ইনসাফ সমাবেশ’। ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে এ ছিল বামেদের কোমর বেঁধে নামা। ব্রিগেডের মাঠে সমাবেশের জন্য সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি পেতে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের অপেক্ষা করতে হয়েছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তার পর গত মঙ্গলবার অনুমতি মেলে ফোর্ট উইলিয়ামের তরফে। রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ব্রিগেডে ভিড় জমিয়েছেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। দেখে খুশি নেতৃত্ব। সমাবেশে চলছে ড্রোনের মাধ্যমে কড়া নজরদারি। ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ দিয়ে শুরু হয়েছে কর্মসূচি।আসন দখলে যতই পিছনে থাক বামেরা, এদিন তাদের যুব সংগঠনের অনুষ্ঠানে লোক এসেছিল কাতারে কাতারে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা একসময়ের জনপ্রিয় বাম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। শয্যাশায়ী। শনিবার ডিওয়াইএফের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে লড়াইয়ের বার্তা নিয়ে ফিরেছেন, জানালেন মীনাক্ষী। এর পরেই পাঠ করেন সেই বার্তা, যা আদতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানের পংক্তি। ‘যেখানে ডাক পড়ে, জীবন মরণ-ঝড়ে আমরা প্রস্তুত’, এটাই হল মূল মন্ত্র। তাঁর সুস্থতা কামনা করেন মীনাক্ষী।
এদিকে বাম যুব সংগঠনের নেতা আভাস রায়চৌধুরীর অভিযোগ করলেন, ব্রিগেডের সমাবেশে কর্মী-সমর্থকেরা যাতে যোগ দিতে না পারেন, সে কারণে বাধা দিয়েছে শাসকদল। ডিওয়াইএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরীর অভিযোগ,
বিভিন্ন জায়গায় আটকে দেওয়া হয়েছে বাস। বুথে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।