সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন হয়েছে কিনা জানি না: পাপিয়া, ভিডিয়ো অরিজিনাল বললেন শাহজাহান

বসিরহাট: সন্দেশখালিতে বিজেপি নেতার স্টিং ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্রমশ সুর বদল। ভিডিয়োতে সন্দেশখালি-২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। মেয়েদের দিয়ে সাজিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছে।

এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হতেই স¨েশখালির এক প্রতিবাদী মুখ পাপিয়া দাস বলছেন, ‘আমাদের আ¨োলন রাজনৈতিক ছিল না। কিছু মানুষের অত্যাচের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছিল। সেই আন্দোলন তৃণমূলের বিরুদ্ধেও ছিল না। ওখানে নারী নির্যাতন হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই।’

সন্দেশখালি আন্দোলনের প্রধান যে পাঁচ জন প্রতিবাদী ছিলেন তাঁরা হলেন রেখা পাত্র, পাপিয়া দাস, সুদেষ্ণা দাস, পিয়ালী দাস, সাগরিকা মণ্ডল। এই পাঁচ জনই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত কাছারি ময়দানে চলতি বছরের ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে জনসভা হয়েছিল সেখানে সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছিলেন। পাপিয়া বলছেন, সেদিন প্রধানমন্ত্রীকে সন্দেশখালি শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। যাঁরা অন্যায় করেছেন তাঁদের শাস্তির দাবিতেই সরব হয়েছিলেন। পাপিয়া জানান, আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁর স্বামী জেল পর্যন্ত খেটেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরও তাঁর স্বামী জেল খেটেছেন। তাঁদের লড়াই ছিল জমি দখল, চাষের জমিতে নোনা জল ঢোকানো, লিজের টাকা না দেওয়া নিয়ে। কিন্তু এর বাইরে যোগ হয়েছিল নারী নির্যাতন। প্রতিবাদী পাপিয়া দাস জানান, নারী নির্যাতন হয়েছে কিনা তা তাঁর জানা নেই। তাঁর কথায়, ‘এখানে শান্তি থাক, সবাই সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করুক। রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে ভেদাভেদ থাকতে পারে। সবাই যে যার আদর্শের রাজনীতি করুক। সন্দেশখালিকে রাজনৈতিকভাবে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছে কোনও একটি রাজনৈতিক দল।’ পাপিয়া জানান, তাঁর স্বামী সৈকত দাস আগে তৃণমূল করত বর্তমানেও তিনি তৃণমূল করছেন। তাঁর দাবি, সন্দেশখালির কিছু মানুষ হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে এখানকার মানুষকে আতঙ্কে রেখেছিল। তাদের বিরুদ্ধেই আন্দোলন ছিল। দল তাদের বহিষ্কার করেছে, পুলিশ রাজধর্ম পালন করেছে। কিন্তু বর্তমানে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ও বিজেপিরর নেতারা যে ভাবে হুমকি দিচ্ছে, মিথ্যা অপপ্রচার করছে তাতে সন্দেশখালির মানুষ নতুন করে আতঙ্কিত।

রাজনৈতিক মহলের দাবি সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ এবং সরকারের সহযোগিতায় সেখানকার নানা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। জমি ফেরত পেয়েছেন সেখানকার মানুষ।

এদিকে  স¨েশখালির একসময়ের বেতাজ বাদশা অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান আগেও বলেছিলেন ষড়যন্ত্রের কথা। গত ২৩ এপ্রিল এই বসিরহাট কোর্টেই হাজির করানো হলে শাহজাহান কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। সেই শেখ শাহজাহান মঙ্গলবার ক্যামেরাব¨ি হয়েছেন খোশ মেজাজে। এদিন বসিরহাট আদালতে তোলার সময় স্টিং ভিডিয়ো নিয়ে সাংবাদিকদেক প্রশ্নের উত্তরে শেখ শাহজাহান বলেছেন ওই ভিডিয়ো ফেক নয়, অরিজিনালই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =