কলকাতা : কলকাতার মহানাগরিক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “বাংলায় আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু গোটা ভারতে মাত্র ১৭ শতাংশ। কিন্তু আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু মনে করি না। এক দিন আমরাই সংখ্যাগুরুর চেয়েও সংখ্যাগুরু হব।”
প্রশাসনিক পদে বসে প্রকাশ্যে এ ধরনের ‘মৌলবাদী কথা’ বলা নিয়ে হইচই হচ্ছে। সংবিধানের শর্তও তাই। সে কারণে একদিকে ফিরহাদ হাকিমের কথা নিয়ে বিজেপি বা বিরোধীরা রে রে করে উঠেছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে! বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার পাশে ফিরহাদের কথা ধিয়ে বাংলায় বিজেপি আবার হিন্দু আবেগে শান দিচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম দলকে জানিয়েছেন, তাঁর কথার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি সংখ্যালঘুদের সংখ্যাগুরু হয়ে ওঠার কথা সরল পাটিগণিতের অর্থে বলেননি। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের আর্থ সামাজিক অনগ্রসরতার একটা বড় কারণ তথা প্রতিবন্ধকতা হল শিক্ষা। সে কারণেই সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রেও বৈষম্য বা ফারাক তৈরি হচ্ছে। এই অন্ধকার তাই শিক্ষাই দূর করতে পারে। সংখ্যালঘুদের উচিত নিজেদের ‘কাবিল’ তৈরি করা। এ জন্য মেহনত করা। আল্লাহর ‘রহমত’ তথা আশীর্বাদ আর সংখ্যালঘুদের মেহনত থাকলে তাঁরাও সমাজে অগ্রসর হতে পারবেন।
তবে, ফিরহাদ প্রশ্নের উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শনিবারের মন্তব্য নিয়ে তিনি কোনও কথা বলবেন না। সংবাদমাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না।
প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মুখ না খুললেও এ ব্যাপারে দলের মধ্যে এক প্রকার কৈফিয়ত ববি হাকিম দিয়েছেন বলেই খবর।