গত বছর কমনওয়েলথ গেমসে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে ভারত। ভারতের এই সাফল্য এবং আগামী বছর অলিম্পিক্সের কথা মাথায় রেখে ক্রীড়াক্ষেত্রে এবার বিপুল অর্থ বরাদ্দ করা হল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে। পরিসংখ্যান বলেছে, এখনও পর্যন্ত ক্রীড়ায় এবার সব থেকে বেশি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। দেশের খেলার মান আরও উন্নত করতে এবং অনেক বেশি ক্রীড়াবিদ তুলে আনার জন্যই এমন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। বাজেট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানান, ক্রীড়াক্ষেত্রে ৩৩৯৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। অর্থাৎ, গত বারের বাজেটের তুলনায় ৭০০ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে এই অর্থবর্ষে। এই বরাদ্দের মধ্যে সব থেকে বেশি ১০৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ‘খেলো ইন্ডিয়া’র জন্য। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, দেশের তরুণ ক্রীড়াবিদদের সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে আরও বেশি নজর দিচ্ছে কেন্দ্র। ৭৮৫ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই)-কে। দেশের বিভিন্ন খেলায় কোচ নিয়োগ, ক্রীড়াবিদদের সরঞ্জাম, পরিকাঠামোর দিকে নজর রাখে এই সংস্থা। ৩২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশনের জন্য। একই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের জন্যও। ন্যাশনাল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্টের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
শুধু তাই নয়, এবার ক্রীড়াক্ষেত্রে বিজ্ঞানের গুরুত্বের দিকেও নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। নজর দেওয়া হয়েছে ক্রীড়াবিদদের স্বাস্থ্যের দিকেও। ন্যাশনাল সেন্টার অফ স্পোর্টস সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চের জন্য ১৩ কোটি, ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির জন্য ২১ কোটি ৭৩ লক্ষ এবং ন্যাশনাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির জন্য ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি বছরই এশিয়ান গেমস রয়েছে। প্যারিস অলিম্পিক্সেরও খুব বেশি দেরি নেই। তাই আগে থেকেই ক্রীড়াক্ষেত্রে জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র। সেই কারণে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে খেলাধুলোর উপর।