টাকা দিয়ে কীভাবে হত নিয়োগ? দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে পার্থ ও কল্যাণময়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে সিবিআই

কলকাতা: যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে কীভাবে টাকার খেলায় নিয়োগ হয়েছিল?  তারই উত্তর জানতে মুখোমুখি জেরা করা হবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশেই স্কুলের গ্রুপ সিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ৩৮১ জনকে। একেক জনের কাছ থেকে সুযোগ বুঝে আট থেকে ২০ লক্ষ পর্যন্ত টাকা নেওয়া

এই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার করা হয় এসএসসির প্রাক্তন কনভেনার শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। সিবিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগ স্পষ্ট। তাঁর নির্দেশেই তালিকা তৈরি হয়। তাতে বাদ যায় যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নাম। আলাদাভাবে সুপারিশ করা হয় অযোগ্য প্রার্থীদের নাম, যাঁদের একেকজন বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছিলেন। পাশ করা কত সংখ্যক প্রার্থীর নাম বাদ গিয়েছিল, এবার সিবিআই তা খুঁজে বার করছে। আপাতত সামনে ৩৮১ জনের নাম এলেও গোয়েন্দাদের ধারণা, এই সংখ্যাটি অনেক বেশি।

সিবিআই এর অভিযোগ অনুযায়ী, নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি সুপারভাইজারি কমিটি তৈরি হয় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। অভিযোগ, ওই কমিটি আইনি প্রক্রিয়া মেনে তৈরি হয়নি। কমিটি ২০১৬ সাল থেকে এসএসসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে। ২০১৯ সালের মে মাসে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। এরপর গ্রুপ সি নিয়োগের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি, অথবা অযোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করার ক্ষেত্রে শান্তিপ্রসাদ সিনহা একটি বড় ভূমিকা নেন।

এই ব্যাপারে তথ্য জানতে আলাদাভাবে নিজাম প্যালেসে পার্থ ও কল্যাণময়কে জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, জেরার মুখে কল্যাণময়বাবু আঙুল তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকেই। তাঁর দাবি, প্রাক্তন মন্ত্রীর নির্দেশে তিনি ওই সুপারিশপত্রগুলি নিয়েছেন। যদিও নিয়োগপত্রের ব্যাপারে তিনি সিবিআইকে কিছু জানাতে চাননি। কল্যাণময়বাবুর দাবি, নিয়োগপত্রে তাঁর নিজের সই নেই। যেগুলি রয়েছে, সেগুলি স্ক্যানড সই। সিবিআইয়ের দাবি, দুই অভিযুক্ত তদন্তে বিশেষ সহযোগিতা করছেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =