ওজন বাড়াতে কী খাবেন?

ইন্টারনেট, ভিডিও খুললেই যখন ওজন কমানোর হাজারও টিপস, তখন অনেকেই হতাশ হয়ে যান ওজন বাড়াবেন কীভাবে? বাড়তি ওজনের জন্য যেমন অনেক সময় টিটিকিরি শুনতে হয়, তেমনই রোগা হওয়ার জন্যও শুনতে হয় নানা কথা।

আসল কথা হল রোগা বা মোটা নয়, স্বাস্থ্যকর চেহারা। সুস্থ থাকা।অনেকেই খুব রোগা হওয়ায় চান চেহারা একটু ফিরুক। এখন প্রশ্ন তারা কী খাবেন।

ওজন বাড়ানোর উপায়-

প্রথমের দেখা দরকার শরীরে কোনও রোগ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা আছে কিনা! থাইরয়েডের ইলব্যালেন্স, ঘনঘন পেটের সমস্যা-সহ একাধিক কারণ রোগা হওয়ার পিছনে থাকতে পারে। যদি কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকে তাহলে ওজনে বাড়াতে যা করবেন।

কলা- কলা শর্করা, ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ। প্রতিদিন ২-৩টি কলা খাওয়াই যায়। কলা খেলে শরীর পুষ্টি পাবে, সেই সঙ্গে ওজন বাড়বে।

দুধ ও পনির-ওজন বাড়াতে এক গ্লাস করে দুধ খান। খাবারের তালিকায় রাখুন ফুল ফ্যাট দুধের পনির। পনির যেমন প্রোটিনের উত্স তেমন এতে ফ্যাটও থাকে।

রাঙা আলু- রাঙা আলুও ওজন বাড়াতে সহায়ক। এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট।

সাবুদানা- সাবুদানাতেও শর্করা, খনিজ থাকে। নিয়মিত দই বা দুধ দিয় বা সবজি-ডাল দিয়ে সাবুর খিচুড়ি খেলে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।

ঘি-ফ্যানভাত, আলু সেদ্ধ- ওজন বাড়াতে এই  কম্বিনেশনের জুড়ি মেলা ভার। পেট ভরে ঘি, ফ্যান ভাত, আলু সেদ্ধ খেলে শরীরে যেমন বল আসবে, তেমনই ওজনও বাড়বে।

বাদাম-আখরোট, পেস্তা, আমন্ড, পিনাট এই সমস্ত বাদামে থাকে গুড ফ্যাট। থাকে নানা ধরনের খনিজ। যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়।

চকলেট– পরিমিত চকলেটে মুড ভাল করার পাশাপাশি শরীরে ক্যালোরি জোগায় অত্যন্ত দ্রুত।

ব্যায়াম- জিমে যাওয়া, ব্যায়াম শুধু রোগা হওয়ার জন্য নয়। সুস্থ থাকার জন্য। নিয়মিত ব্যায়াম শরীর ভাল রাখতে ক্ষিদে বাড়াতে সাহায্য করে।

পেট ভরে খাওয়া- যখনই খাবেন পেট ভরে খেতে হবে। খবারের তালিকায় ডিম, মাছ, মাংসের পাশপাশি সোয়াবিন, মুসুর ডাল, চানা এগুলোও নিয়মিত রাখতে হবে।

করবেন না-

জাঙ্ক ফুড-

ওজন বাড়াতে গিয়ে জাঙ্ক ফুড নিয়মিত খাবেন না। মনে রাখবেন, সুস্থ থাকাটাই আপনার লক্ষ্য।

অতিরিক্ত খাবার-পেট ভরে খাবার খান, কিন্তু এতটাও খাবেন না যাতে শরীরে অস্বস্তি হয়।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে- বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ফেরাতে অনেক মা দিনরাত খাবার নিয়ে ছোটাছুটি করেন। বমি করার পর আবার খাবার জোর করে দিন। বাচ্চাকে নানা রকম পুষ্টিকর খাবার দিন। কিন্তু কখনই জোর করবেন না। কারণ, তার ক্ষিদে থাকতে নাই পারে। সে কিন্তু এগুলো মুখে বলতে পারবে না।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − thirteen =