কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে ঝাঁঝ বাড়লেও তেমনই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে হিসাব নিয়ে। এদিকে আট ডিএ আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগও ওঠে। তবে তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এই বিতর্কে জল ঢালতে এবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে পেশ করা হল আন্দোলনে খরচ হওয়া অর্থের হিসাব। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একাংশের বিরুদ্ধে যখন আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে সেই সময় এই অডিট রিপোর্ট পেশ করা হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এই অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৪ এপ্রিল, অর্থাৎ প্রায় আড়াই মাসে ডিএ আন্দোলনে খরচ হয়েছে ৮৮ লাখ ১০ হাজার ৩০৮ টাকা। শুধু তাই নয়, এই রিপোর্টে কোন কোন খাতে কত খরচ হয়েছে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, তা নিয়েও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই খরচে এও জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে দিল্লিতে যে আন্দোলন কর্মসূচি করা হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে সেই ট্যুরেই খরচ হয় ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫০৭ টাকা। এছাড়াও এই নির্দিষ্ট সময়ে খাবার বাবদ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে খরচ হয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা। এছাড়াও আন্দোলনকারী যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁদের হাসপাতালের বিল এসেছে আট লাখ ৭৪ হাজার ৬২২ টাকা।
এরই পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়, ‘বিল কালেকশন এবং বক্স কালেকশনের অর্থাৎ আন্দোলনের জায়গাতেই অর্থ সংগ্রহের জন্য যে বাক্স রাখা হয়েছে তার মাধ্যমেই সরকারি কর্মীদের থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। ইচ্ছুক ব্যক্তিরা নিজে থেকেই অর্থ দেন।’ এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানান, ‘একাধিক সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত। সেক্ষেত্রে অনেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে টাকা দিয়ে আন্দোলনে সাহায্য করছেন। কিন্তু, বিষয়টা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে হবে। আগাম জামিন যে কোনও ব্যক্তির আইনি অধিকার। এই নিয়ে আলাদা করে বিরোধিতার জায়গা নেই।’ পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে এও দাবি করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আওতায় এক হয়েছে একাধিক সরকারি কর্মী সংগঠন। ফলে যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে এই আন্দোলনের ঝাঁঝ।