সৈয়দ মফিজুল হোদা, বাঁকুড়া: মাত্র ১০ দিনের সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে কোলে নিয়ে কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক গৃহবধূ। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া সদর থানার বাসুলিতড়া গ্রামে। এরপর পুলিশে খবর দিলে মঙ্গলবার ভোর নাগাদ পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা গিয়ে কুয়ো থেকে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মানসিক অবসাদের জেরে এই আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া সদর থানার বাসুলিতড়া গ্রামের ঝুমা বাউরির সঙ্গে বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় বেলিয়া গ্রামের তরুণ বাউরির। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কের টানপোড়েন শুরু হয় ঝুমার। এরই মাঝে ঝুমা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে ঝুমা বাপের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। দিন দশেক আগে ঝুমা বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের জন্মের পর স্বামী তরুণ বাউরি সন্তান সহ স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে ঝুমার শারিরীক দুর্বলতার জন্য সন্তান সহ ঝুমাকে বাসুলিতড়া গ্রামে নিয়ে যান বাপের বাড়ির লোকজন।
পরিবারের দাবি, গতকাল রাত দশটা নাগাদ বাপের বাড়ি থেকেই সন্তান সহ নিখোঁজ হয়ে যান ঝুমা। দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজ করার পর বাপের বাড়ির লোকজন দেখেন, বাড়ির অদূরে একটি কুয়োয় ঝুমা ও তাঁর সন্তানের দেহ ভাসছে। পরিবারের লোকজন দাবি করেন, এমনিতেই শারিরীক ভাবে দুর্বল ছিলেন ঝুমা। সন্তান প্রসবের পর সামান্য মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। সেই অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।