দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের ধোবিঘাট এলাকায় কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় এক গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূ’র শাশুড়ি সোমা নায়েককে গণধোলাই দেয়। দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। গৃহবধূর বাপের বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম প্রথমা নায়েক। তাঁর বয়স ২০ বছর। অণ্ডালের দুপচুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। প্রথমা নায়েকের সঙ্গে ২০১৯ এর ১ ডিসেম্বর বিয়ে হয় দুর্গাপুরের ধোবিঘাট এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ নায়কের। স্বামী বিশ্বজিৎ নায়েক একটি বেসরকারি সিমেন্ট কারখানার কর্মী। তাদের একটি বছর দেড়েকের কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই টাকা পয়সার জন্য প্রথমাকে চাপ দিত স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতার স্বামী প্রথমার বাবা কাশীনাথ বিশ্বাসকেকে ফোন করে জানায় প্রথমা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাঁকে দুর্গাপুর ডিএসপি মেন হসপিটালে ভর্তি করা হলে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা। পরিকল্পনা করেই প্রথমাকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এমনটাই অভিযোগ পরিবার সহ এলাকাবাসীর। পরিবারের তরফ থেকে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়। দুর্গাপুর থানার পুলিশ মৃতার স্বামী ও শ্বশুর দিলীপ নায়েককে আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।