মহেশ্বর চক্রবর্তী
আলোচনায় সমাধান সূত্র আদৌ বেরোবে কি, না যুদ্ধ আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। আতঙ্কে দিন গুনছে বিশ্ববাসী। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় নাগরিকদের বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনছে ভারত সরকার। এর জন্য চারটি দেশে হেভিওয়েট মন্ত্রী ও আমলাদের পাঠায় ভারত। ইউক্রেন থেকে ওই চারটি দেশ হয়ে ভারতে ফিরছে ভারতীয় নাগরিকরা। এদিন ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরা এক ছাত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন হুগলি লোকসভার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ এবং হুগলি জেলা বিজেপির সভাপতি তুষার মজুমদার। হুগলির ভদ্রেশ্বর শারদাপল্লির মৈত্রি মুখোপাধ্যায় ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার তাদের মতো আটকে পরা ছাত্র ছাত্রীদের ভারতে ফিরিয়ে আনেন। এদিন তার সঙ্গে কথা বলে যাবতীয় বিষয় জানেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপর ডাক্তারি পরতে যাওয়া চাঁপদানির মনিশা যাদবের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং মনিশা যেহেতু ফেরেনি, তাই তার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপর ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা বৈদ্যবাটি চাপসারা নিবাসী সৌম্য সাঁতরা এর সঙ্গে দেখা করেন এবং ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা বৈদ্যবাটির রাজা রামমোহন রায় সরণী নিবাসী পুষ্প চাঁদ রায় সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইউক্রেন থেকে ছাত্র ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনছেন আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। যারা দেশে ফিরেছেন তাদের সঙ্গে আমরা দেখা করছি। মানসিক ভাবে তারা বিপর্যস্ত। তাই তাদের পাশে আমরা রয়েছি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মোদি সরকার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে এটা আমাদের গর্বের বিষয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, যুদ্বের মধ্যে আমাদের সন্তানরা ফিরে আসছে। অনেক আগেই ভারত সরকার যুদ্ধ হবে বলে তাদের অফিসিয়ালি জানিয়ে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও যারা আসেনি তাদের আনা হচ্ছে। সবমিলিয়ে এদিন তিনি ইউক্রেন ফেরত ছাত্রছাত্রী ও তার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন।