পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েতে অয়নের নিয়োগের তথ্য দিতে ইডি-র কাছে সময় চাইল হুগলি জেলা প্রশাসন

হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে অয়ন শীলের পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিল ইডি। কারণ, ইডি-র আধিকারিকদের বদ্ধমূল ধারনা, এই নিয়োগে লুকিয়ে আছে দুর্নীতি। এদিকে পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলের তথ্য পাঠাতে সময় চাইল হুগলি জেলা প্রশাসন। সূত্রে খবর, ইডি-র কাছে সময় চেয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসন। পাণ্ডুয়া ব্লকে একজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্য়ান্ট ছিলেন অয়ন। কী ভাবে একজিকিউটিভ অ্যাসিট্যান্ট পদে যোগ দেন অয়ন সেই তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেই সময় চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বেশিরভাগ পুরসভাই ২০১৪ সাল থেকে নিয়োগের নথি চাওয়া জমা দিয়েছে ইডি দপ্তরে। তবে এখনও হুগলি জেলা প্রশাসন শুধু এই নিয়োগ নথি কেন জমা দিতে পারল না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এদিকে ইডি-র সূত্রেও খবর, হুগলির জেলা প্রশাসনকে সময় দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ার বাসিন্দা হলেও ২০১৯ সালের পর থেকে অধিকাংশ সময় চুঁচুড়ার বাইরে থাকতেন অয়ন। ২০১৮ সাল থেকে পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ হিসাবে কাজ করতেন। পরে ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেও বেশ কিছু দিন কাজ করেন। এর আগেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তখনই সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করেছিল পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান অভিজিৎ রায়। তিনি জানান, খুব একটা বেশি অফিসে যেতেন না অয়ন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘এই সময়ে ৬-৭ মাস অয়নের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে যখন তিনি আসতেন তখন এসইউভি গাড়িতে চড়ে আসতেন। খুব একটা বেশি এখানে আসতেন না। পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ আধিকারিক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে পান্ডুয়া থেকে বদলি হয়ে তিনি বলাগড়ে চলে যান।’ আর এখান থেকেই শুরু হয়েছিল অয়ন ও শ্বেতার সম্পর্ক। নৈহাটির শ্বেতা প্রথমে জিরাট পঞ্চায়েতে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করতেন। পরবর্তীকালে ২০১৬ সালে ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর পঞ্চায়েতে যোগ দেন। সেখানেই আলাপ হয় অয়নের সঙ্গে। আপাতত জেলা প্রশাসনের কাছ থেকেই বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 7 =