পুজোর আগেই কলকাতায় ‘হোম স্টে’, ঘোষণা পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র

কলকাতা: গত কয়েক বছরে ‘হোম স্টে’ ব্যাপারটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষত উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন গ্রামগুলিতে। এ রাজ্যের একাধিক জেলায় ধীরে ধীরে হোম স্টে-র সংখ্যা বাড়ছে। বেড়াতে গিয়ে কিছুটা ঘরোয়া অনুভূতি, স্থানীয় মানুষের আতিথেয়তা পেতে হোম স্টে-গুলোতে থাকতে চাইছেন পর্যটকরা। এবার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্যে পর্যটনের প্রসারে উৎসাহ দিতে উৎসব শুরু হওয়ার আগেই কলকাতায় হোম স্টে চালু করতে চলেছে পর্যটন দপ্তর।
কলকাতার দুর্গাপুজো মানে আবেগ, জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সম্প্রীতির এক উৎসব। যেখানে থেকে শিল্পের ছোঁয়া, থাকে আন¨-উচ্ছ্বাস। গত বছরই ইউনেস্কো শারদোৎসবকে ‘ইনট্যাঞ্জিবেল হেরিটেজ’-এর স্বীকৃতি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলায় দুর্গাপুজো নিয়ে বিশ্বের দরবারে আরও উৎসাহ বাড়বে বলেই রাজ্যের আশা। এই পরিস্থিতিতে পর্যটন দপ্তর পুজো শুরুর আগেই হোম-স্টে চালু নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, এ জন্য রাজ্যের পর্যটন দপ্তর ও কলকাতা পুরসভায় যৌথভাবে বেশ কিছু ফ্ল্যাট, বাড়ি চিহ্নিত করে নথিভুক্ত করবে। তাদের সমস্ত তথ্য পর্যটন দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে । জেলার মতো এখানেও কিছু মানুষকে অতিথি অভ্যর্থনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে । আরও কীভাবে সেই হোম-স্টে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সেই ব্যাপারে পরিকল্পনা হবে। এজন্য কলকাতা পুরসভা একজন আধিকারিক নিয়োগ করেছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি পর্যটনমন্ত্রী হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘পর্যটনে বাংলাকে শুধু ভারত সেরাই নয়, বিশ্বসেরা করার লক্ষ্যে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার।’ বাবুল জানান, ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলা ৭ নম্বরে রয়েছে। এবার সময় হয়েছে আরও বড় স্বপ্ন দেখার। পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও চাঙ্গা করার জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে পুজোর এই মুহূর্তকে কাজে লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ৭টি সাব কমিটি গঠন করেছেন। পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থান, প্রতিটি ক্ষেত্রকে মাথায় রেখে পর্যটন শিল্পকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করা যায় তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’
রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পর্যটনের প্রসারে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে হোমস্টেগুলির পরিচালন ব্যবস্থা আরও ভালো করতে ও নিরাপত্তা বাড়াতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতির কারণে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে পশ্চিমবঙ্গ হোমস্টের সংখ্যার নিরিখে এক নম্বর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ১৭০৪টি হোমস্টেকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যা পর্যটন কেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের নয়া দিক নির্দেশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + fourteen =