প্রবল গরমে কালো হয়ে যাচ্ছে চোখ-মুখ? একবার লাগিয়ে দেখুন এই ফেস প্যাক

প্রচণ্ড দাবদাহে গা-হাত পা পুড়ে যাওয়ার জোগাড়। মাথায়, মুখে কাপড় বেঁধে, সানস্ক্রিন লাগিয়েও এড়ানো যাচ্ছে না রোদের তাপে ট্যান পড়ে যাওয়া। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নেবেন যত্ন ? ঘরোয়া কয়েকটি জিনিসই কিন্তু এক্ষেত্রে করতে পারে বাজিমাত। কীভাবে জেনে নিন।

ফেস ওয়াশ- কাঁচা ঠান্ডা দুধের সঙ্গে আটা অথবা বেসন মিশিয়ে নিন। তারপর সারা মুখে লাগিয়ে নিন ভালো করে। মিনিট ২-৩ পর মুখ টান লাগলে জলের ঝাপটা দিন মুখে। তারপর আঙুল দিয়ে সার্কুলার মোশানে হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করে বেসন বা আটার প্রলেপ মুখ থেকে তুলে দিন। দেখবেন, প্রথমবারেই ত্বক কতটা পরিষ্কার লাগবে।

দুধ ও চালের গুঁড়োর স্ক্রাবার- কাঁচা দুধ ও চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে একদম হাল্কাহাতে ম্যাসাজ করবেন। খেয়াল রাখবেন একদম চাপ দেবেন না। বিশেষত সংবেদনশীল ত্বকে ম্যাসাজ একদম মৃদু হবে। মিনিট ৫-৭ রেখে মুখ ধুয়ে নিন।

টমটো-আলুর রসের ফেস প্যাক- টমেটো ও আলু ভালো করে ধুয়ে মিক্সিতে বেটে নিন। ওই মিশ্রনের সঙ্গে সামান্য অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। মিনিট ১০ রাখার পর ঠান্ডার জলের ঝাপটা দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন। টমেটো ও আলুর রস মুখের কালোভাব দূর করবে নিমেষেই। একবার ব্যবহারেই দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে।

প্রতিদিন এর মধ্যে অন্তত দুটো ধাপ করতে পারলেই দেখবেন এক সপ্তাহে ত্বকের কালচে ভাব দূর হয়ে গিয়েছে। তবে এটা কোনও মিরাক্যাল হওয়ার মতো জিনিস নয়। একবার লাগালেই ত্বক বিজ্ঞাপনে যেমন দেখায় তেমন নিমেষে ফর্সা হয়ে যাবে। প্রতিটি উপাদানই যেহেতু খাবারের জন্য ব্যবহার হয়, এগুলো প্রচুর গুণ যেমন আছে, ঠিক তেমনই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয় একদমই। এর রেজাল্ট নির্ভর করবে সান ট্যান কতটা গভীর তার ওপর। সান ট্যান অল্প থাকলে সহজে উঠে যাবে। বেশি থাকলে সময় লাগবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + sixteen =