দিনে হোলি, রাতে কোহলি। এরই যেন প্রত্যাশায় ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সমর্থকরা। জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জল্পনা চলছে, বিরাট কোহলিকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হবে না। ভারতের স্কোয়াড এখনও ঠিক হয়নি। গত এক-দেড় বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতীয় দলের বেশি ম্যাচ ছিল না। বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মাই। এখনও অবধি এটুকুই ঠিক রয়েছে। স্কোয়াড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দেখা হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স। প্রথম ম্যাচে শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বিরাট কোহলি। ঘরের মাঠ বেঙ্গালুরুতে বিরাটের বিধ্বংসী ব্যাটিং।
বোর্ডে ১৭৭ রানের টার্গেট। শুরুটা দুর্দান্ত প্রয়োজন ছিল। বিরাট কোহলির ফেস করা দ্বিতীয় বলেই আতঙ্ক। দ্বিতীয় বলেই স্লিপে বিরাটের ক্যাচ ফসকেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। সেটি বাউন্ডারি হয়। এরপর আর রোখা যায়নি বিরাটকে। বাকিটা নিখুঁত ইনিংস। যদিও তাঁর আক্ষেপ মেটার নয়। ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি বিরাট। চেজমাস্টারের কাছে যা বড় আক্ষেপ হওয়ারই কথা। ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি। টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে ৯২তম হাফসেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০-এর বেশি স্কোরের নিরিখে তৃতীয় স্থানে বিরাট। ক্রিস গেইল (১১০), ওয়ার্নার (১০৯) বিরাট কোহলির সব মিলিয়ে ১০০টি ৫০ প্লাস স্কোর।
রান তাড়ায় শুরুতে ২০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছিলেন বিরাট। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়তে কিছুটা সতর্ক হতে হয়। প্রথম ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ রজত পাতিদার বিরাটকে ভরসা দেন। তা অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। উল্টোদিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট বিরাট কোহলি। ৪৯ বলে ৭৭ রান করেন। শেষ চার ওভারে আরসিবির টার্গেট দাঁড়ায় ৪৭ রান। গত ম্যাচে ভালো খেলা অনুজ রাওয়াতও ভরসা দিতে পারেননি। দীনেশ কার্তিরে সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার মহীপাল লোমরোর। গত বারের আইপিএলে অনবদ্য খেলেছিলেন।
শেষ ৩ ওভারে ৩৬ রানের টার্গেট। ১৮তম ওভারে অর্শদীপ সিং। স্ট্রাইক পেয়েই বিশাল ছয় মহীপালের। আরসিবি শিবিরে ফের আশার আলো। পরের বলেই বাউন্ডারি। শেষ ২ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩। এই রান সহজ বলা যায়। ১৯তম ওভারে হর্ষল প্যাটেল আক্রমণে। আরসিবির হয়ে খেলার সুবাদে এই মাঠ তাঁর খুব ভালো চেনা। ম্যাচ এত ক্লোজ হবে, বিরাট ক্রিজে থাকা অবধি মনে হয়নি। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ রান। চার বল বাকি থাকতে চার উইকেটে জয় আরসিবির।