ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। ধস, হড়পা বানে রবিবার হিমাচলে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। গত ৩৬ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৪টি ধস নেমেছে। ১৩টি হড়পা বানের খবর পাওয়া গিয়েছে। ধসের কারণে ৭০০টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ। বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তর বাড়ছে। অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে আজ সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। রবিবারই এই ছুটির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। গত দু’দিন ধরে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লির জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আম আদমি পার্টির সরকার।
দিল্লির জাকারিয়া এলাকায় ভারী বৃষ্টির জেরে বাড়ি ভেঙে দু’জন জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনী। কেন্দ্রীয় জল কমিশন (সিডব্লিউসি) জানিয়েছে, দিল্লিতে যমুনা নদীর জলস্তর বাড়ছে। মঙ্গলবার বিপদসীমা পার করতে পারে বলে আশঙ্কা।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিমি। ১৯৮২ সালের পর জুলাই মাসে কোনও এক দিনে এই প্রথম এত পরিমাণে বৃষ্টি হল দিল্লিতে। ১৯৮২ সালের ২৫ জুলাই এক দিনে দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছিল ১৬৯.৯ মিমি। ১৯৫৮ সালে ২১ জুলাই এক দিনে দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছিল ২৬৬.২ মিমি। আগামী দু’তিন দিন আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
শুধু রাজধানী নয় সোম এবং মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে হিমাচল সরকার। ৭৩৬টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। রবিবার সকালে মোট ১৭৪৩টি ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবি, বিপাশা, শতদ্রু, সাওয়ান, চন্দ্রভাগা-সহ বেশ কিছু নদীর জলস্তর বাড়ছে। হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা। উত্তর ভারতে গত দু’দিনে দুর্যোগে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।