প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত্যু কমপক্ষে ৬ জনের

মেঘ ভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst Rain) জেরে বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) একাধিক জেলা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রশাসন সূত্রে এমনটাই খবর। আগামী ২৫ অগস্ট পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ভূমিধসে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যে আপাতত বন্ধ পর্যটন।

মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর (CM Jai Ram Thakur) দুর্যোগে মৃতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী ২৫ অগস্ট অবধি গোটা রাজ্যে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে হিমাচল সরকার। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে স্কুল-কলেজে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এইসঙ্গে পর্যটকদের হোটেল ছাড়তে বারণ করা হয়েছে। আপতত নদী ও পাহাড়ে বেড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

রাজ্যের হামিরপুর জেলায় আকস্মিক বন্যার পরে এলাকায় আটকে পড়া ২২ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, জানানো স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। এদিকে চাম্বা জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, একটানা ভারী বৃষ্টিতে সেখানে বাড়ি ভেঙে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মান্ডিতে এক নাবলিকার দেহ মিলেছে।বন্যার জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে ও ধস নেমে আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। পরিবারের বাকি পাঁচ সদস্যও বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে, মনে করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।

মেঘ ভাঙা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর বাঘি থেকে পুরনো কোটালা এলাকায় বসবাসকারী বহু পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করতে পেরেছে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − four =