শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশের ৬৮টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ৬৫.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে ভোটার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা ভোট দিতে পারবেন। এতে ভোটের হার কিছুটা বাড়বে।
শনিবার গণতন্ত্রের এই মহান উৎসবে যুব, নারী ও বৃদ্ধা-সহ বিভিন্ন বয়সের ভোটাররা উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অংশ নেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৬৫.৯২ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ভোটগ্রহণকারী দলগুলো ফেরার পর চূড়ান্ত ভোটের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে। এ অবস্থায় ভোটের হার বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সকাল থেকেই হাড়কাঁপানি ঠাণ্ডা এবং রাজ্যের চাম্বা-সহ কিছু কিছু জায়গায় বরফাবৃত রাস্তা দিয়ে নিজেদের মূল্যবান ভোট দিতে পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রে পৌঁছন মানুষজন। সকালের দিকে, ভোটদাতাদের সংখ্যা মোটামুটি থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মানুষের আগমন বৃদ্ধি পায়। এদিন প্রায় সকাল সকালই ভোট দিয়েছিলেন জয়রাম ঠাকুর, জেপি নাড্ডা, অনুরাগ ঠাকুর প্রতিভা সিং-এর মত হেভি ওয়েট নেতানেত্রীরা। শনিবার বেলা ১ টা পর্যন্ত ৩৭.১৯ শতাংশ মানুষ ভোট দেন। রাজ্যের শ্রিমোর জেলায় ৪১.৮৯ শতাংশ ভোটডানা ভোট দেন। এদিন এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিজ জেলা মান্ডিতে এদিন ৪১.১৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। এছাড়াও দুপুর ১ টা পর্যন্ত চাম্বায় ২৮.৩৫ শতাংশ এবং লাহৌল এবং স্পিতিতে সবচেয়ে কম, ২১.৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিরমৌর জেলায় সর্বোচ্চ ৭২.৩৫ শতাংশ এবং কিন্নর জেলায় সর্বনিম্ন ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এছাড়া বিলাসপুর জেলায় ৬৫.৭২ শতাংশ, চাম্বায় ৬৩.০৯ শতাংশ, হামিরপুরে ৬৪.৭৪ শতাংশ, কাংড়ায় ৬৩.৯৫ শতাংশ, কুল্লুতে ৬৪.৫৯ শতাংশ, লাহৌল-স্পিতিতে ৬৭.৫০ শতাংশ, মান্ডিতে ৬৫.৫৯ শতাংশ, শিলায় ৬৫.৬৮ শতাংশ। সোলান ও উনাতে ৬৭.৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। লাহৌল-স্পিতি জেলার তাশিগাং-এ বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোট কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ভোট রেকর্ড করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজকের ভোটের জন্য মোট ৭ হাজার ৮৮১টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কাংড়া জেলায় সর্বাধিক ১,৬২৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে যেখানে লাহৌল-স্পিতি জেলায় সর্বনিম্ন ৯২টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় ৭,২৩৫টি এবং শহরাঞ্চলে ৬৪৬টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।