কলকাতা: ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। করোনার জন্য এই প্রথম পরীক্ষার্থীরা নিজের স্কুলে পরীক্ষা দেবেন। নিজের স্কুলে পরীক্ষা হওয়ায়, উচ্চ মাধ্যমিকে কতটা স্বচ্ছ্বতা থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। এ নিয়ে যাতে বিতর্ক তৈরি না হয় সেজন্য কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হলে বা গণ টোকাটুকির মতো ঘটনা ঘটলে সেই স্কুলের অনুমোদন পর্যন্ত বাতিল হতে পারে। পাশাপাশি টোকাটুকি রুখতে বিশেষ পর্যবেক্ষকের ব্যবস্থা করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এ বছর ™রীক্ষায় বসছে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার পড়ুয়া । এবার ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭১ হাজার বেশি। দু’দফায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে গ্রহণের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হবে। সতর্কতা এবং সচেতনতা মেনেই এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ও অলচিকি, চার ভাষায় প্রশ্নপত্র করা হবে। একাদশ শ্রেণির ১১টি বিষয় ও দ্বাদশ শ্রেণির ১১ টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র অলচিকি ভাষায় হচ্ছে।
হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ায় এবার পরীক্ষায় কোনরকম টোকাটুকি বা অসদুপায় অবলম্বন আটকাতে সংসদ বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ পর্যবেক্ষক রাখা হবে। বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সরকারি আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে। স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যখন প্রশ্ন যাবে, সেই সময়ে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুলিশ ছাড়া কোনও প্রশ্নপত্র বিলি হবে না। প্রতি কক্ষে ২ জন করে শিক্ষিক,শিক্ষিকা গার্ডের দায়িত্বে থাকবেন। নজরদারিতে কোনও গাফিলতি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে বিষয়ের পরীক্ষা যেদিন থাকবে, সেই বিষয়ের শিক্ষক সেদিন দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। কোনও স্কুল থেকে টোকাটুকি বা অন্য কোনও অসাধু কাজের অভিযোগ এলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সভাপতি।
সংসদের তরফে বলা হয়েছে, কোনও স্কুলে যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক না থাকেন, সেক্ষেত্রে জুনিয়র হাইস্কুল, মাধ্যমিক স্কুল থেকে শিক্ষক নেওয়া হবে। স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, কোনও পরীক্ষার্থী যদি উত্তরপত্রে রাজনৈতিক স্লোগান লেখেন, উত্তরপত্রে অশোভন বাক্য বা ছবি আঁকা হলে, উত্তরপত্রের মধ্যে চিঠি, টাকা ইত্যাদি রেখে নিরীক্ষক বা পরীক্ষককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সেই সব উত্তরপত্র বাতিল করা হবে। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে কোনও বই, বইয়ের পাতা, লেখা কোনও কাগজ বা আপত্তিকর গেলে সেখানেই তাঁর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে।
পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও সমস্যায় পড়লে যোগাযোগের জন্য সংসদের পক্ষ থেকে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। ওই হেল্প লাইনের নম্বর হল ০৩৩ ২৩৩৭,০৭৯২।