১৪ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক ২০২৩। এর আগে সোমবারই এই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত স্কুলের প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষিকা, সেন্টার ইন চার্জদের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষায় কোনওরকম টোকাটুকি রুখতে বা প্রশ্নপত্র যাতে কোনওভাবেই ফাঁস না হয়, তার জন্য কঠোরভাবে নজরদারি চালানো হবে সংসদের তরফ থেকে। শুধু উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের জন্যই নয়, একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েও জারি হয়েছে একই নির্দেশিকা। কোনওভাবেই পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না কোনও পরীক্ষার্থীই। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের মূল গেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ মোবাইল চেকিং করবেন। নজর রাখতে হবে ভেন্যু সুপারভাইজারকেও।
এছাডা়ও ওই বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে, শুধু পরীক্ষার্থীরাই নয়, ভেন্যু সুপারভাইজার, সেন্টার ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি ছাড়া কোনও শিক্ষাকর্মীই ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধানদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা যখন অ্যাডমিট কার্ড নিতে আসবেন, তখনই যেন মোবাইলের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এও জানানো হয়, সারা রাজ্যে প্রায় ২৩৫টি পরীক্ষাকেন্দ্র ‘স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্র’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির বাইরে বসছে মেটাল ডিটেক্টর। যার মাধ্যমে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক্স গেজেট চেকিং-এর ব্যবস্থা করা হবে।
একইসঙ্গে এদিনের এই বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে, প্রত্যেক পরীক্ষাকক্ষের বাইরে থাকবেন ২ জন পরিদর্শক। তাঁরাই কারও কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে তবেই প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। সঙ্গে এও নির্দেশ দেওযা হয়েছে, যে কক্ষে যে বিষয়ের পরীক্ষা হবে, সেই বিষয়ের শিক্ষক সেই কক্ষে পরিদর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারবেন না। প্রতিটি ভেন্যুতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভেন্যু সুপারভাইজারকে বিশেষ দায়িত্ব-সহ আইকার্ড দেওয়া হবে। সঙ্গে এও হুঁশিয়ারি দেওযা হয়েছে যে, কোনও ভেন্যু সম্পর্কে যদি কোনও বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর, টোকাটুকির অভিযোগ ওঠে, তাহলে সেই স্কুলের রেজাল্ট সাময়িকভাবে আটকে যেতে পারে। সঙ্গে এ নির্দেশও স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে যে, পরীক্ষা শুরুর পর ১ ঘণ্টা পর্যন্ত কাউকে টয়লেট যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং ১২টা ৪৫-এর আগে কোনও পরীক্ষার্থী হল থেকে বেরোতে পারবে না। ১ ঘণ্টা পর টয়লেটে গেলেও খাতা ও প্রশ্নপত্র জমা রেখে যেতে হবে।
