শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে মৃত্যু মামলায় এবার কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা নিয়েও রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয় হাইকোর্টের তরফ থেকে।
এদিকে বৃহস্পতিবার আদালতে রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,‘শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। সেইকারণেই এই ঘটনার তদন্তভার রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর অর্থাৎ সিআইডি-র হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ কিন্তু, গাড়ি দুর্ঘটনার মতো বিষয়ে কেন রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে দেওয়া হল তা নিয়ে বিস্ময়প্রকাশ করতে দেখা যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে। এদিকে এক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যরকম তৈরি হয়। সেই কারণেই এই ঘটনার গুরুত্ব রয়েছে বলে আদালতকে জানান রাজ্যের আইনজীবী। সব শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রশ্ন, ‘সিআইডি কেন? আরও বেশি কিছু দেওয়া দরকার!’ তারপরেই বিচারপতি মান্থা মৌখিক নির্দেশে জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও কনভয় সুরক্ষা কর্মীকে ডাকবে না পুলিশ।
সম্প্রতি দিঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কের কাছে চণ্ডীপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের বাসিন্দা ইসরাফিল খানের। শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় ওই মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ৷ সেই অভিযোগে, নিহতের বাবা সফিরউদ্দিন চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শুরু রাজনৈতিক চাপানউতর। মৃত যুবকের মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ মিছিলও করে তৃণমূল। এই ঘটনায় শুভেন্দুর কনভয়ের এক গাড়ির চালককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।