বিচারপতির বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব আদালতের

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এমনটাই নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে এও নির্দেশ দেয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। তার পাল্টা হলফনামা দেবেন মামলকারীও।

সম্প্রতি বিচারপতি মান্থার বাড়ির কাছেই তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এর পাশাপাশি বিচারপতির মান্থার এজলাস আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আইনজীবীদের একাংশ। এরপর পোস্টার লাগানোর ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা হয় হাইমকোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই রাজ্যকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়।

এদিকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জনস্বার্থ মামলায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিকাশরঞ্জন আদালতে জানান, ঘটনার পর ৪ থেকে ৫ দিন কেটে গেলেও পুলিশের তরফ থেকে কী পদক্ষেপ নেওযা হয়েছে তা জানা যায়নি। যাঁরা পোস্টার লাগিয়েছিলেন, পুলিশ তাঁদের খোঁজার কাজ পুলিশ শুরু করেছে কি না সে ব্যাপারেও মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি বলেও অভিযোগ জানান আইনজীবী বিকাশঞ্জন।

যোধপুর পার্কে বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে দেখা গিয়েছিল সেই বিতর্কিত পোস্টার। পার্ক থেকে শুরু করে বহুতলের দেওয়ালেও সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই পোস্টার। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘ডিসঅ্যাগ্রি ইন দ্য নেম অফ জুডিশিয়ারি’, নীচে লেখা, ‘হোয়ারস্ দ্য জাস্টিট মাই লর্ড?’ পোস্টারে নাম ছিল শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নামও। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা সকালে হঠাৎই এই ধরনের পোস্টার দেখতে পান। তদন্তে প্রাথমিক ধারনা, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা ওই পোস্টাল লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। একই ধারনা স্থানীয়দেরও। এদিকে আবার বিচারপতি মান্থার এজলাসে বাধা দেওয়ার ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা হয়। সেই মামলায় রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা স্বয়ং। এরপরই এজলাসের সামনে থেকে আইনজীবীদের অবস্থান উঠে যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − one =