যোগেশচন্দ্রে অবিলম্বে পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

কলকাতা : যোগেশচন্দ্র ল ও ডে কলেজে বুধবার রং খেলায় লঙ্কা ও হলুদ গুঁড়োর ব্যবহার নিয়ে অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আবেদনকারী ছাত্রদেরকে অবিলম্বে এফআইআর করতেও নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি দু’সপ্তাহ পরে কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে কী পদক্ষেপ করা হল, রাজ্যকে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

বুধবারের ঘটনায় চারু মার্কেট থানার ওসি বৃহস্পতিবার আদালতে এসে জানান এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ এই বিষয়ে ডে কলেজের অধ্যক্ষের আইনজীবী নীল বসু জানান, বুধবার যে ঘটনা ঘটেছিল তা ওসি এসে দেখেন । কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি । বিভিন্ন সময় ডে কলেজের অধ্যক্ষ একাধিকবার চারুমার্কেট থানার ওসি-কে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিকের বক্তব্য, দুই কলেজের অধ্যক্ষই অপদার্থ। তারা এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটতে দেয়? তাঁরা কেন পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেন না?

মামলাকারী ছাত্রদের আইনজীবী অর্ক নাগ এদিন জানান, এই নিয়ে তৃতীয়বার আদালতে এল যোগেশচন্দ্র কলেজের সমস্যা। বহিরাগতরা গতকাল রং বলে যেটা ব্যবহার করেছে সেটা লঙ্কা-হলুদ ও জিরে গুঁড়ো। মিডিয়াকে মারধর করা হয়েছে। একটা এফআইআর পর্যন্ত হয়নি। অথচ পুলিশ ছিল ঘটনাস্থলে।

অর্ক নাগের অভিযোগ, সরস্বতী পুজো থেকে শুরু হয়েছে গণ্ডগোল। আদালত দু’টি পুজোর অনুমতি দেয়। এরপর ডে কলেজের ছেলেরা রোজ ঝামেলা করছে৷ পাশ করে যাওয়া ছেলেরা ওখানে সিন্ডিকেট করছে। এটা সাব্বির আহমেদ নামে শাসকদলের একটি ছেলের গ্রুপ।

এই বিষয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর প্রশ্ন, ১১ বছর ধরে এরা রয়েছে কলেজে ! এরা তো এখন বহিরাগত৷” এই ঘটনার পরই চারু মার্কেট থানার ওসি-কে তলব করেন বিচারপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − five =